ঢাকা: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিশ্চিত কয়েকটি আউটের সুযোগ মিস না করলে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকাই বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠতো। সেই আক্ষেপের কথাই শোনালেন প্রোটিয়াদের অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘আমরা কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করেছি। ম্যাচ জয়ের জন্য এরকম সুযোগ সচরাচর আসে না। কিন্তু, ভাগ্য আমাদের সহায় ছিল না। এ পরাজয়ে দলের সবাই হতাশ। তবে, জীবন তো আর থেমে থাকে না। সুযোগ আবারও আসবে। তার জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই। ’
প্রোটিয়া অধিনায়ক আরও বলেন, ‘আমরা ম্যাচ জেতার জন্য যে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি তাই যথেষ্ট ছিল। রান আউট ও ক্যাচ মিস করাটা সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত ছিল। এরকম পরাজয়ের কোনো সান্ত্বনা নেই। ’
কিউইদের প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠার নেপথ্যে মূল কারিগর ছিলেন গ্রান্ট এলিয়ট। তার অপরাজিত ৮৪ রানে ভর করে এক বল হাতে রেখেই ২৯৮ রানের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা। এছাড়াও শেষদিকে কোরি অ্যান্ডারসনের ৫৮ রানের ইনিংসও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। দু’জনই নিশ্চিত আউটের হাত থেকে বেঁচে যান।
ব্যক্তিগত ৩৩ রানের মাথায় রান আউটের হাত থেকে রক্ষা পান প্রোটিয়াদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ানো অ্যান্ডারসন। স্ট্যাম্পের গোড়ায় থ্রো থেকে তাড়াহুড়ো করে ক্যাচ নিতে গেলে ডি ভিলিয়ার্সের হাত থেকে বল ফসকে যায়। হাত দিয়ে স্ট্যাম্প ভাঙায় এ যাত্রায় বেঁচে যান অ্যান্ডারসন। পরে ৫৮ রান করে মরকেলের বলে ডু প্লেসিসের তালুবন্দি হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। অপরদিকে এলিয়টের নিশ্চিত রান আউট ও ক্যাচ আউট মিস করেন উইকেটকিপার কুইন্টন ডি কক ও ফারহান বেহারদিন।
উল্লেখ্য, বৃষ্টির কারণে দু’দলই ৪৩ ওভার করে ব্যাট করার সুযোগ পায়। প্রথমে ব্যাট করে পাঁচ উইকেটে ২৮১ রান করে প্রোটিয়ারা। সর্বোচ্চ ৮২ রান করেন ফাফ ডু প্লেসিস। ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন ডি ভিলিয়ার্স। এছাড়াও ১৮ বলে ৪৯ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলেন ডেভিড মিলার। ডাকওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে জয়ের জন্য কিউইদের সামনে ২৯৮ রানের লক্ষ্য বেধে দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪০ ঘন্টা, মার্চ ২৫, ২০১৫