ঢাকা: ক্রিকেট বিশ্বকাপের যাত্রা শুরু হয় ১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে। ওই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় স্বাগতিকদের।
এ পর্যন্ত অনুষ্ঠেয় দশটি বিশ্বকাপের তিনটি বাদে (১৯৭৫, ১৯৭৯, ২০০৭) বাকিগুলো যৌথ আয়োজনেই সম্পন্ন হয়েছে।
যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপগুলোতে আয়োজক হিসেবে ১৯৯৬-এ প্রথমবারের মতো ফাইনালে উঠতে সক্ষম হয় শ্রীলঙ্কা। উপমহাদেশে দ্বিতীয়বারের ওই আয়োজনে অপর দুই আয়োজক ভারত-পাকিস্তান হলেও ফাইনালে শ্রীলঙ্কার প্রতিপক্ষ ছিল অস্ট্রেলিয়া।
এরপর ১৯৯৯, ২০০৩, ২০০৭ বিশ্বকাপে আয়োজকদের কাউকেই ফাইনালের আসরে দেখেনি ক্রিকেটবিশ্ব। বরং এ তিন বিশ্বকাপে উপমহাদেশের ক্রিকেটের তিন পরাশক্তিকে হারিয়ে (পাকিস্তান, ভারত, শ্রীলঙ্কা) হ্যাটট্রিক শিরোপাসহ চারবার বিশ্বকাপ নিজেদের ঘরে তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
২০১১ সালে বিশ্বকাপ ক্রিকেট ফিরে আসে উপমহাদেশে। এ বিশ্বকাপের মাধ্যমে বিশ্ব ক্রিকেটে আরেক ক্রিকেট পরাশক্তি হিসেবে যোগ হয় বাংলাদেশ নামে নতুন আয়োজকের। আর এ বিশ্বকাপেই প্রথমবারের মতো ফাইনালে ওঠে আয়োজক দেশগুলোর দুই দল ভারত-শ্রীলঙ্কা।
মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দশম বিশ্বকাপের ওই ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটে হারিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ শিরোপা জয়লাভ করে স্বাগতিক ভারত। যা আয়োজক দেশ হিসেবে প্রথম শিরোপা।
২৩ বছর পর নিজেদের মাঠে ফেরা বিশ্বকাপ ঘরে তুলতে মরিয়া ওশেনিয়ার দুই দ্বীপ রাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড। ১৯৯২-এ বিশ্বকাপ আয়োজন করলেও ফাইনালে ওঠার সুযোগ হয়নি কারোরই। ওই বিশ্বকাপে ইংলিশদের ২২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান।
তবে উল্লেখ করার বিষয়, ২০১১ বিশ্বকাপের মতো এবারও ফাইনালে ওঠেছে আয়োজক দেশগুলো। রোববার (২৯ মার্চ) মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে যৌথ আয়োজক নিউজিল্যান্ড। ২০১১ বিশ্বকাপকে হিসেবে নিলে বলা যায়, এবারের বিশ্বকাপ জিততে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়া।
ধারণা যাই হোক, মাঠের খেলাটাই আসল। যোগ্যতা ও শক্তির বিচারে লড়াইয়ে যে এগিয়ে থাকবে শেষ হাসি তারই। আর তা দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি নতুন সূর্যের।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫