ঢাকা: চার-ছক্কার ফুলঝুড়িতে বিশ্বকাপের এগারোতম আসরের অনেক ম্যাচে রানের পাহাড় দেখেছেন বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটপ্রেমীরা। সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরের পাশাপাশি বিশ্বকাপে ব্যক্তিগত দ্বিশতক হাঁকানোর রেকর্ডও হয়েছে।
এবারের আসরের ৪৯টি ম্যাচে মোট ৩৮টি শতক দেখেছেন বিশ্ববাসী। এতো সংখ্যক শতকের মাধ্যমে আগের সব রেকর্ড ভঙ্গ করেছে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপ।
তবে এর মধ্যে গ্রুপ পর্বের ৪২ ম্যাচেই হয় ৩৫টি শতক। দু’শ রানের দু’টি ইনিংস ছাড়াও ব্যক্তিগত দেড়শ’ রানের ইনিংস হয় সাতটি।
টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়া ১৪টি দেশের মধ্যে শুধুমাত্র আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যানরা শতক হাঁকাতে ব্যর্থ হন। সর্বোচ্চ ৮টি শতক হাঁকিয়ে তালিকায় সবার ওপরে রয়েছে শ্রীলঙ্কা। সর্বোচ্চ শতক হাঁকানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা, পাঁচটি। চারটি শতক নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। তিনটি করে শতক নিয়ে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে রয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও অস্ট্রেলিয়া। আর বাংলাদেশের পক্ষে একাই দু’টি শতক হাঁকান রিয়াদ।
এবারের বিশ্বকাপে চার ম্যাচে টানা শতক হাঁকিয়ে একদিনের ক্রিকেটের পাশাপাশি বিশ্বকাপ ক্রিকেট ইতিহাসে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেন ৩৭ বছর বয়সী শ্রীলঙ্কান বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে অপরাজিত ১০৫ রানের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও ১১৭ রানে অপরাজিত থাকেন সাঙ্গাকারা। পরের ম্যাচে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১০৪ ও স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৪ রান করে টানা চার শতক হাঁকানোর কৃতিত্ব দেখান তিনি।
টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে টাইগার অলরাউন্ডার মাহামুদুল্লাহ, শ্রীলঙ্কার দিলশান, ভারতের শেখর ধাওয়ান, জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেইলর দু’টি করে শতক হাঁকান। এর মধ্যে মাহামুদুল্লাহ ও টেইলরের রয়েছে টানা দুই শতক।
১৯৭৫ সালে ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপ ক্রিকেটের পুরো আসরে শতক হয় মাত্র ছয়টি।
১৯৭৯’র দ্বিতীয় বিশ্বকাপ আসরটিও বসে ইংল্যান্ডে। বোলারদের দাপটের ওই বিশ্বকাপে পুরো টুর্নামেন্টে মাত্র দু’টি শতক হয়। যা আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান গর্ডন গ্রিনিজ ও ভিভ রিচাডর্সের ব্যাট থেকে।
১৯৮৩’র বিশ্বকাপে শতক আসে আটটি। আর ১৯৮৭ সালে অনুষ্ঠেয় উপমহাদেশের প্রথম বিশ্বকাপে (ভারত ও পাকিস্তান) শতক হয় ১১টি। তবে পরবর্তী বিশ্বকাপে শতকের সংখ্যা আবারও কমে যায়। অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় ওই বিশ্বকাপে শতক হয় আটটি।
২০০৩ সালের বিশ্বকাপে শতকের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২১টিতে। আর ২০০৭ সালে শতকের এ সংখ্যা দাঁড়ায় ২০টিতে।
তবে ২০১১ সালে উপমহাদেশের দ্বিতীয় বিশ্বকাপে (বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান) ব্যাটসম্যানদের শতক হাঁকানোর এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৪টিতে।
এগারোতম বিশ্বকাপে নতুন রেকর্ডের পর বারোতম বিশ্বকাপ ক্রিকেটপ্রেমীদের জন্য কী নিয়ে আসে তার অপেক্ষায় থাকতে হবে আরো চার বছর। ২০১৯ সালে বিশ্বকাপের ওই আসর বসবে ইংল্যান্ডে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ২৯, ২০১৫