ঢাকা: শেষ দিকে এসে এতটা বিধ্বংসী হবেন তা হয়তো নিজেও ভাবেন নি। শুরুর ম্যাচগুলোতে তার আলামতও পাননি কিউই ভক্তরা।
১৩ মার্চ গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৫ রানের ইনিংস খেলেন গাপটিল। হারতে হারতে জিতে যাওয়া ওই ম্যাচে গাপটিলের ইনিংস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
টানা পাঁচ ম্যাচ জয়ের মাধ্যমে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করা কিউইদের প্রতিপক্ষ হয়ে ২১ মার্চ মাঠে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এ ম্যাচে ক্যারিবীয়রা যে গাপটিলকে দেখলো তা সম্পূর্ণ অচেনা, অজানা। নইলে বোলারদের ওপর তাণ্ডব চালিয়ে ১৬৩ বলে ২৩৭ রানের ইনিংস খেলতে একুটুও খারাপ লাগলো না গাপটিলের।
বিশ্বকাপের এগোরোতম আসরে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক কিউই ডানহাতি ওপেনার মার্টিন গাপটিল। নয় ইনিংসে ৬৮.৩৭ গড়ে বিশ্বকাপে তার সংগ্রহ ৫৪৭ রান। টানা দুই শতকের পাশাপাশি একটি অর্ধশতক রয়েছে তার। এছাড়া মাত্র এক রানের জন্য প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অর্ধশতক বঞ্চিত হন গাপটিল।
দুই ইনিংস কম খেলে এ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা। সমান সংখ্যক সাত ইনিংস খেলে ৪৮২ রান নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্স।
বিশ্বকাপের এবারের আসরের সর্বোচ্চ দশ স্কোরারের তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। ৬ ইনিংসে ৭৩ গড়ে রিয়াদের করেন ৩৬৫ রান।
১৯৭৫ সালে নিউজিল্যান্ডের গ্লেন টার্নার (৩৩৩), ১৯৭৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের গর্ডন গ্রিনিজ (২৫৩), ১৯৮৩ সালে ইংল্যান্ডের ডেভিড গাওয়ার (৩৮৪), ১৯৮৭ সালে ইংল্যান্ডের গ্রাহাম গুচ (৪৭১), ১৯৯২ সালে নিউজিল্যান্ডের মার্টিন ক্রো (৪৫৬), ১৯৯৬ সালে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার (৫২৩), ১৯৯৯ সালে ভারতের রাহুল দ্রাবিড় (৪৬১), ২০০৩ সালে ভারতের শচীন টেন্ডুলকার (৬৭২), ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ার ম্যাথু হেইডেন (৬৫৯) ও ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান (৫০০) বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ স্কোরার ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ০৭০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৩০, ২০১৫