ঢাকা: মাত্র কয়েকঘণ্টা আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। অস্ট্রেলিয়া থেকে ফিরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পদত্যাগের এ ঘোষণা দেন তিনি।
আইসিসি প্রেসিডেন্টের এ ঘোষণা সঙ্গে সঙ্গেই ক্রিকেট ও ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যমসহ, আন্তর্জাতিক মিডিয়া তা ফলাও করে প্রচার করে। এর মধ্যে কেউ কেউ বিষয়টি সংবাদ হিসেবে প্রচার করলেও স্বার্থে আঘাত হানায় ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো প্রচারে একটু ক্যারিশমা দেখায়।
এ বিষয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি বলছে, বিশ্বকাপ ফাইনালে তাকে (মুস্তফা কামাল) চ্যাম্পিয়নদের হাতে ট্রফি তুলে দিতে না দেওয়ায় হতাশ হয়ে তিনি পদত্যাগ করেছেন।
আইবিএন লাইভ জানায়, বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হাতে ট্রফি তুলে দেওয়া নিয়ে মুস্তফা কামাল ও আইসিসির মধ্যে মনোমালিন্য হওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বিশ্বকাপ ট্রফি তুলে দেওয়ার সম্মানে ভূষিত না করায় তিনি পদত্যাগ করেছেন। একই দৃষ্টিভঙ্গিতে সংবাদ উপস্থাপন করেছে দ্য হিন্দু।
ক্রীড়া বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ বলছে, বিশ্বকাপ ট্রফি চ্যাম্পিয়নদের হাতে তুলে দেওয়া নিয়ে সৃষ্ট বির্তকের জেরে আইসিসি প্রেসিডেন্ট পদত্যাগ করেছেন।
আর মুস্তফা কামালের বিবৃতিতে উদ্ধৃত করে ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, অসাংবিধানিকভাকে যারা কাজ করে তাদের প্রতিরোধে ও ক্রিকেটের স্বার্থে আমার এ পদত্যাগ।
দ্য গার্ডিয়ান বলছে, অসাধু কর্মকর্তাদের কড়া সমালোচনা করে পদত্যাগ করেছেন আইসিসি প্রেসিডেন্ট মুস্তফা কামাল।
সংবাদ সম্মেলনে মুস্তফা কামাল বলেন, নয় মাস পদটিতে থেকে আজ তার অবসান ঘোষণা করছি।
তিনি বলেন, এখন থেকে আমি যে বক্তব্য দেবো তা হবে আইসিসি’র সাবেক সভাপতির বক্তব্য। আমি যা বলেছি তা ষোল কোটি মানুষের বক্তব্য। আমি তা প্রত্যাহার করবো না, আমি পদত্যাগ করবো।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেছি এর বিচার যেন আমরা পাই। ক্রিকেট একটি গৌরবময় খেলা। এর একটি আইন রয়েছে। সেখানে একজন প্রেসিডেন্টের কী দায়িত্ব তাও বলা রয়েছে।
আইসিসির সংবিধানের ৩.৩ ধারা মোতাবেক আসিসির ওয়ার্ল্ড ইভেন্টে শুধুমাত্র সভাপতিই ট্রফি দিতে পারেন। গত ২৯ তারিখ ট্রফি দেওয়ার কথা ছিলো আমার, কিন্তু আমি সেটা দিতে পারিনি। কেন দিতে পারিনি সেটা সারা বিশ্ব জানে, যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১২ ঘণ্টা, এপ্রিল ০১, ২০১৫