ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

এইচপি কার্যক্রমে ২২ সদস্যের দল ঘোষণা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৭ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০১৫
এইচপি কার্যক্রমে ২২ সদস্যের দল ঘোষণা

ঢাকা: দেশের প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিবিঢ় পর্যবেক্ষণের আওতায় রাখতে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট (এইচপি) নিয়ে আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। এ জন্য ২২ সদস্যের হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি।



হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াড: রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস,  সাদমান ইসলাম,  তাসামুল হক, মাহমুদুল হাসান, মেহেদী হাসান রানা, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত,  মো: মিথুন, তাইবুর রহমান পারভেজ, জুবায়ের হোসেন লিখন, সাকলাইন সজিব, নাহিদ-উজ-জামান, নাসুম আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, শুভাশিষ রায়, কামরুল হাসান রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, নুরুল হাসান সোহান, জাবিদ হোসেন ও ইরফান শুক্কুর।

সোমবার (২৫ মে) দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করে দল ঘোষণা করেন বিসিবি’র সহ-সভাপতি ও হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের চেয়ারম্যান মাহবুব আনাম। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন এইচপি কর্মসূচির কোচিং ডিরেক্টর পল টেরি ও ম্যানেজার স্টুয়ার্ট কারপিন।

২২ সদস্যের দলের পাশাপাশি কোচিং স্টাফদের নামও ঘোষণা করেন মাহবুব আনাম। এইচপি কর্মসূচির জন্য কোচিং ডিরেক্টর হিসেবে কাজ করবেন পল টেরি। আর হেড কোচের দায়িত্ব পালন করবেন মাল রয়। এইচপিতে কাজ করবেন স্থানীয় কোচরাও। পেস বোলিংয়ে সারোয়ার ইমরান, ব্যাটিংয়ে জাফরুল এহসান, স্পিনে ওয়াহিদুল গণি, ফিল্ডিং ও উইকেটকিপিংয়ে থাকবেন গোলাম মর্তুজা।

চার মাসের এই কার্যক্রমের পাশাপাশি বছরজুড়ে উদীয়মান ও জাতীয় দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারকে নিয়ে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের অধীণে থেকে ‘এলিট প্রোগাম’ নামে আলাদা একটি কর্মসূচী চালু করতে যাচ্ছে বিসিবি। এই কর্মসূচির কাজ হবে পাঁচটি বিভাগ নিয়ে। বিভাগগুলো হলো পেস বোলিং (৪ সপ্তাহ), স্পিন বোলিং (৬ সপ্তাহ), ব্যাটিং (৬ সপ্তাহ), ফিল্ডিং (২ সপ্তাহ) ও উইকেটকিপিং (২ সপ্তাহ)।

এলিট কার্যক্রমে যারা আছেন:

পেস বোলার: আবুল হাসান রাজু, আল আমিন হোসেন, রবিউল ইসলাম, শুভাশিষ রায়, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ সোহেল, আবু জায়েদ চৌধুরী রাহি, মেহেদি হাসান, কামরুল ইসলাম রাব্বি, দেওয়ান সাব্বির আহমেদ, তাসকিন আহমেদ, রুবেল হোসেন, আবু হায়দার রনি, মাশরাফি বিন মর্তুজা, অনিক ইসলাম, সোহাগ রেজা, মোস্তাফিজুর রহমান ও মুক্তার আলী।

স্পিন বোলার: জুবায়ের হোসেন লিখন, সাকলাইন সজিব, নাহিদুজ্জামান, নাসিম আহমেদ, নুরুল হোসেন মুন্না, সোহাগ গাজী, সাঞ্জামুল ইসলাম, ইফতেখার সাজ্জাদ, আহম্মেদ সাদিকুর ও রাহাতুল ফেরদৌস।

ব্যাটসম্যান: রনি তালুকদার, লিটন কুমার দাস, সাদমান ইসলাম, তাসামুল হক, মাহামুদুল হাসান লিমন, সাব্বির হোসেন,  মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মো: মিথুন, তাইবুর রহমান পারভেজ, মো: সৈকত আলী, আসিফ আহমেদ রাতুল, মেহেদি মারুফ, আরিফুল হক, মার্শাল আইয়ুব, মেহরাব হোসেন, মায়শুকুর রহমান, নাঈম ইসলাম, শামসুর রহমান শুভ, রকিবুল হাসান ও শাহরিয়ার নাফিস।

উইকেটরক্ষক: নুরুল হাসান সোহান, জুবায়ের হোসেন, ইরফান শুক্কুর, হামিদুল ইসলাম হিমেল, মোহাম্মদ জসীম, লিটন কুমার দাস ও মোহাম্মদ মিথুন।

এলিট প্রোগাম নিয়ে মাহবুব আনাম বলেন, ‘যারা জাতীয় দলের বাইরে চলে যান তাদের আমরা হারিয়ে যেতে দিতে চাই না। এই প্রোগ্রামে বছরজুড়ে ক্রিকেটাররা স্কিল ট্রেনিং করার সুযোগ পাবে।   কারো ইনজুরি থাকলে এই প্রোগ্রামের আওতায় থেকে সারিয়ে নিতে পারবে। এছাড়া আন্তর্জাতিক সিরিজের আগে নিজেদের প্রস্তুত করার সুযোগও পাবে। ’

এইচপি প্রোগ্রাম প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘বিসিবি ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে হাতে হাত রেখেই কাজ করবে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট। যখন খেলা থাকবে না তখন আমরা কর্মসূচির কার্যক্রমগুলো সম্পন্ন করবো। ’

যেখানে ঘরোয়া ক্রিকেটের কোনো ক্যালেন্ডার নেই সেখানে এইচপি কার্যক্রমের সমন্বয় কিভাবে হবে জানতে চাইলে মাহবুব আনাম বলেন, ‘এটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য আমাদের ক্রিকেট ক্যালেন্ডার নেই। আমরা বিসিবি ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে কথা বলেই প্রোগ্রাম ফিক্সড করবো। ’

উল্লেখ্য, এর আগে রিচার্ড ম্যাকিন্সের তত্ত্বাবধানে ২০০৪ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত  হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) ইউনিটের কার্যক্রম হয়। এর ফলস্বরূপ সাকিব-মুশফিকদের মতো বিশ্বমানের তারকা ক্রিকেটার পেয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু ২০০৭ সালের পর বন্ধ হয়ে যায় এই কার্যক্রম। এরপর আবারো প্রয়োজনীয়তা অনুভব করায় নতুন করে, নতুন কাঠামোতে শুরু হতে যাচ্ছে এইচপি ইউনিটের কার্যক্রম।   

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫৮ ঘন্টা, মে ২৫, ২০১৫
এসকে/আরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।