ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২০৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৫
বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম টেস্ট ড্র ছবি: উজ্জ্বল ধর/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

চট্টগ্রাম থেকে: দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে জয় পেল না বাংলাদেশ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকা। অবশেষে জয় হলো বৃষ্টির।

বৃষ্টির কারণে চতুর্থ দিন ভেস্তে যাওয়ার পর পঞ্চম দিনেও কোনো বল মাঠে গড়ায়নি। ফলে, শনিবার (২৫ জুলাই, ম্যাচের পঞ্চম দিন) দুপুর ১২টায় ম্যাচের দায়িত্বে থাকা আম্পায়াররা দিনের খেলা পরিত্যক্ত ঘোষণার সঙ্গে প্রথম টেস্ট ড্র বলে সিদ্ধান্ত দেন।

বড় বড় দলগুলোর বিপক্ষে বাংলাদেশের টেস্ট ম্যাচগুলোতে সাফল্য নেই বললেই চলে। তাই, টেস্টের এক নম্বর দল সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে বৃষ্টিকে আশীর্বাদ বলা চলে। ক্রিকেটের নীতিমালা বা আইন দিয়ে প্রাকৃতিক বৈরিতা আটকানো সম্ভব নয়। তবে, টাইগাররা সাদা পোশাকে প্রোটিয়াদের চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম তিনদিন আটকে রেখেছিল। পাঁচদিন পুরো ম্যাচ মাঠে গড়ালে হয়তো অন্যরকম সাফল্য ধরা দিতো বদলে যাওয়া টাইগারদের হাতে।

চতুর্থ দিন একটি বলও মাঠে না গড়ানোয় পঞ্চম দিনে গড়ায় প্রথম টেস্ট। আর এই প্রথম কোনো টেস্টে পঞ্চম দিনের মুখ দেখে টাইগার-প্রোটিয়ারা। এর আগে দু’দলের মধ্যে যে আটটি টেস্ট হয়, তার ছয়টি গড়ায় চতুর্থ দিন পর্যন্ত। আর বাকী দু’টি ম্যাচ সমাপ্ত হয় তিনদিনে।

শুক্রবার রাত থেকেই একটানা বৃষ্টি হয় চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে।

এর আগে বৃষ্টিতে ভেসে যায় চট্টগ্রাম টেস্টের চতুর্থ দিনের খেলা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে একটি বলও মাঠে গড়ায়নি। শেষ পর্যন্ত দিনের খেলাই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের চেয়ে ১৭ রানে পিছিয়ে ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

দুই প্রোটিয়া ওপেনার স্টিয়ান ভ্যান জিল ৩৩ ও ডিন এলগার ২৮ রানে অপরাজিত থেকে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেন। ২১.১ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৬১ রান সংগ্রহ করে প্রোটিয়ারা।

প্রথম ইনিংসে দ. আফ্রিকার করা ২৪৮ রানের জবাবে ১১৬.১ ওভার ব্যাট করে ৩২৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এতে করে প্রোটিয়াদের চেয়ে ৭৮ রান এগিয়ে থাকে স্বাগতিকরা। টাইগারদের হয়ে অর্ধশতক হাঁকান তামিম ইকবাল (৫৭), মাহামুদুল্লাহ রিয়াদ (৬৭) এবং লিটন দাশ (৫০)। ওপেনার ইমরুল কায়েসের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।

চট্টগ্রাম টেস্টের মধ্য দিয়ে দ. আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ রানের সংগ্রহ গড়ে বাংলাদেশ। অতিথিদের বিপক্ষে দ্বিতীয়বারের মতো লিড নেওয়া বাংলাদেশের আগের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর ছিল ২৫৯ রান। ২০০৮ সালে চট্টগ্রামেই টেস্টে এক ইনিংসে দলীয় এ স্কোর গড়ে টাইগাররা। সে ম্যাচে সফরকারী দল ইনিংস ও ২০৫ রানের জয় পায়। শুধু ইনিংসে সর্বোচ্চ রানই নয়, প্রোটিয়াদের বিপক্ষে এবারই প্রথম এক ইনিংসে একশ ওভারের বেশি ওভার ব্যাটিং করেছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০০২ সালে ৮৭.৫ ওভার ব্যাটিং ২৫২ রান  তুলতে পেরেছিল টাইগাররা।

প্রোটিয়াদের হয়ে ডেল স্টেইন ও সিমন হারমার তিনটি করে উইকেট লাভ করেন। ভারনন ফিল্যান্ডার দুটি, ভ্যান জিল ও এলগার একটি করে উইকেট নেন।

টেস্টের প্রথম দিন ২৪৮ রানেই গুটিয়ে যায় দ. আফ্রিকা। মুস্তাফিজুর রহমান, জুবায়ের হোসেন, মোহাম্মদ শহীদদের বোলিং তোপে প্রোটিয়ারা ৮৩.৪ ওভার ব্যাট করতে সক্ষম হয়। প্রোটিয়াদের হয়ে প্রথম ইনিংসে সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে পাঁচ নম্বরে নামা তেমবা বাভুমার ব্যাট থেকে। এছাড়া ওপেনার ডিন এলগার ৪৭, ভ্যান জিল ৩৪ ও ফাফ ডু প্লেসিস ৪৮ রান করেন।

টাইগারদের হয়ে চারটি উইকেট তুলে নেন কার্টার মাস্টার মুস্তাফিজ। আর তিনটি উইকেট দখল করেন জুবায়ের হোসেন। এছাড়া সাকিব, মাহামুদুল্লাহ ও তাইজুল একটি করে উইকেট নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১২০৫ ঘণ্টা, ২৫ জুলাই, ২০১৫
এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।