ঢাকা: ক্রীড়া জগতে সিরিজ ডোপ কেলেঙ্কারিতে নড়েচড়েই বসেছে আইসিসি। টেনিস তারকা মারিয়া শারাপোভার ড্রাগ নেওয়ার খবরে তো পুরো বিশ্বেই হইচই পড়ে যায়।
অতীতে ক্রিকেট ড্রাগের কালো মুখ দেখেছে। ২০০৩ বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে ডোপ টেস্টে পজিটিভ হয়ে এক বছরের নিষেধাজ্ঞা পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার স্পিন কিংবদন্তি শেন ওয়ার্ন।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসরকে ডোপমুক্ত রাখতে চাইছেন আয়োজকরা। টুর্নামেন্ট পরিচালক ও বিসিসিআই’র ক্রিকেট অপরেসন্স জেনারেল ম্যানেজার এম.ভি. শ্রীধর বলেন, ‘ডোপ টেস্ট ইতোমধ্যেই জায়গা করে নিয়েছে। ’
২৭ দিনের এই জমজমাট বৈশ্বিক ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ১৬টি দল অংশ নিয়েছে। ম্যাচ সংখ্যা ৫৮। মোট আট ভেন্যুতে পুরুষ টিম ৩৫ ও নারী টিম ২৩টি ম্যাচে অংশ নেবে।
খেলোয়াড়দের ডোপিং থেকে দূরে রাখতে যেকোনো সময়ই ডোপ টেস্ট করা হবে বলে জানা যায়। এমনকি তা কয়েকবারও হতে পারে। এ ব্যাপারে এম.ভি. শ্রীধরের ভাষ্য, ‘ডোপ টেস্ট করবে আইসিসির অ্যান্টি-ডোপিং কমিটি। ওয়ার্ল্ড অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির কোড অনুযায়ী তা পরিচালিত হবে। ’
কিভাবে ডোপ টেস্ট করা হবে তার একটা উদাহরণ দেন শ্রীধর, ‘যেকোনো দ্বিপাক্ষিক সিরিজের মতোই ম্যাচের দিন সকালে দুই দলের টিম ম্যনেজার তাদের একাদশের নাম হস্তান্তর করে থাকেন। সেখান থেকে দুই দলের দুইজন করে খেলোয়াড়কে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হবে। যার নমুনা নেওয়া হবে সন্ধ্যায়। ’
সম্প্রতি ক্রিকেটকে পরিচ্ছন্ন রাখতে যেকোনো দলের খেলোয়াড়কে ডোপ টেস্টের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রাখার ইঙ্গিত দেন আইসিসির সিইও ডেভ রিচার্ডসন।
গত বছর পাকিস্তানের লেগ স্পিনার ইয়াসির শাহ ও শ্রীলঙ্কান উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান কুসল পেরেরা ডোপ কেলেঙ্কারিতে জড়ান। পরে দু’জনই আইসিসির ডোপ টেস্টে পজিটিভ প্রমাণিত হন।
আইসিসির অ্যান্টি ডোপিং কোড লঙ্ঘন করায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইয়াসিরকে তিন মাস ও পেরেরা চার বছরের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০১৬
আরএম