ধর্মশালা (হিমাচল) থেকে: শুক্রবার ভোর থেকে হিমাচলের পাহাড়ে পাহাড়ে অবিরাম ধারায় পড়ছে বৃষ্টি। ভারী বর্ষণে এখানকার জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
বাংলাদেশে বর্ষার দিনে ভারী বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে হয়েও জরুরি কাজ চালিয়ে নেয়া যায়, কিন্তু হিমাচলের বৃষ্টিতে সেটা করা অসম্ভব না হলেও বেশ কঠিন। জম্মু ও কাশ্মীরের কোল ঘেঁষে থাকায় এখানকার বৃষ্টির পানি ভীষণ ঠাণ্ডা। গায়ে কাঁটা দেওয়ার মতো বিঁধে যায় বৃষ্টির এক একটি ফোঁটা। বৃষ্টির পানির রীতিমতো বরফের মতো শীতল।
বৃষ্টির প্রচণ্ডতায় গতকাল রাত থেকেই হিমাচলের তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে গেছে। বাইরে যেমন ঠাণ্ডা তেমনি ঠাণ্ডা ঘরের ভেতরেও। তবে হোটেল কক্ষে হিটার থাকায় কিছুটা স্বস্তি। হিটারের উষ্ণতায় দিনের স্বাভাবিক কাজ কিছুটা হলেও চালিয়ে যাবার শক্তি পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টির কারণে আজ মাশরাফিদেরর অনুশীলনও বাতিল হয়েছে। তাই টিম হোটেলেই গড়িমসি করে সময় কাটাতে হচ্ছে টাইগারদের। একই অবস্থা বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ কাভার করতে আসা গণমাধ্যম কর্মীদেরও। মাশরাফিদের অনুশীলন না থাকায় সংবাদকর্মীদেরও ছোটাছুটি বন্ধ। হোটেলে বসেই যার যার মতো সময় কাটাচ্ছেন তারা।
তবে, ভাবনার বিষয় হলো ১৩ মার্চ পর্যন্ত বৃষ্টির এমন ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকলে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ওমানের বিপক্ষে মাশরাফিদের শেষ ম্য্যাচটিও পরিত্যক্ত হবে। আর সেটা হলে দ্বিতীয় ম্যাচের ধারাবাহিকতায় আবার পয়েন্ট ভাগাভাগি করতে হবে টাইগারদের।
অবশ্য পয়েন্ট ভাগাভাগি হলেও বাংলাদেশের ক্ষতি নেই। কেননা দুই ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ ও ওমানের পয়েন্ট সমান হলেও নেট রান রেটে এগিয়ে থাকায় পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে টাইগাররা। শেষ ম্যাচটি যদি বৃষ্টি বাগড়ায় পণ্ড হয়ে যায়, তাহলে এই নেট রান রেটে এগিয়ে থাকার সুবাদেই ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যাবে বাংলাদেশ।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আকাশের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে শেষ ম্যাচটিও পণ্ড হতে যাচ্ছে। তবে, হিমাচলের আবহাওয়ার প্রেক্ষিতে একথা এখনই বলা ঠিক হবে না। এখানকার আবহাওয়ায় ছড়িয়ে আছে দুষ্ট ছেলের চাঞ্চল্য যা বদলায় ক্ষণে ক্ষণে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১২, ২০১৬
এইচএল/এমজেএফ