ঢাকা: ‘রবি ফাস্ট বোলার হান্ট’ এর চূড়ান্ত বাছাই রোববার (১৩ মার্চ) মিরপুরের একাডেমি মাঠে সম্পন্ন হয়েছে। ২৩ জন থেকে চূড়ান্ত নির্বাচন করা হয়েছে সেরা ১০ বোলারকে।
এদেরকে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের (এইচপি) সঙ্গে যুক্ত করে ৪৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেয়া হবে যাতে জাতীয় পর্যায়ে উঠে আসতে পারেন।
জাতীয় দলে উঠে আসার প্ল্যাটফর্ম পাওয়া এ সকল বোলারদের দেয়া হয়েছে অর্থপুরস্কারও। চূড়ান্তভাবে বিজয়ী ১১ পেসারের (ছেলে ১০, মেয়ে ১) প্রত্যেককে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেটের সঙ্গে দেয়া হয়েছে ৫০ হাজার টাকার চেক। আর শারীরিক ত্রুটি রয়েছে এমন দুই বোলার-মনির হোসেন ও গোলাম রব্বানীকে দেয়া হয়েছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেটের সাথে ২০ হাজার টাকার চেক।
এই ১৩ জন পেসারকে আগামী পাঁচ বছরের জন্য বৃত্তিরও ব্যবস্থা করেছে রবি। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা দেয়া হবে তাদের। কোনো ক্রিকেটার যদি প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারে তাহলে দ্বিগুণ হয়ে যাবে টাকার পরিমান। আর বিপিএলে কোনো দলে সুযোগ পেলে সেটি বাড়বে তিনগুণ। আর বাংলাদেশ জাতীয় দলে সুযোগ পেলে পাঁচগুণ বাড়বে এ স্কিম।
এছাড়া সর্বোচ্চ গতিতে বল করে ‘স্পিডস্টার’ হওয়া এবাদত হোসেন, ‘মোস্ট কন্সিস্ট্যান্ট’ ফাস্ট বোলার এর স্বীকৃতি পাওয়া মুজিবুর রহমান ও ‘বেস্ট ভ্যারিয়েশন’ ফাস্ট বোলার এর স্বীকৃতি পাওয়া সুলতান হোসেন- এ তিনজনকে বাড়তি ৩০ হাজার টাকার চেক ও ট্রফি তুলে দেয়া হয়।
অর্থপুরস্কার প্রদান প্রসঙ্গে মোবাইল ফোন অপারেটর রবি’র চিফ অপারেটিং অফিসার মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এসব ফাস্ট বোলাররা যাতে হারিয়ে না যায় এ জন্য আমরা পাঁচ বছরের স্কিম দিচ্ছি। তবে যদি তারা খেলাধুলা অব্যাহত না রাখে তবে এ সুযোগ তারা পাবে না। আমরা সুযোগ দিচ্ছি। এ সুযোগ কাজে লাগানোর দায়িত্ব এ সব তরুণদেরই। এ জন্য তাদের ডিসিপ্লিন্ড হতে হবে। ফাস্ট বোলারদের ডিসিপ্লিন্ড থাকা খুব জরুরি। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮২৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৩, ২০১৬
এসকে/আরএম
** রবি ফাস্ট বোলার হান্টের সেরা ১০ বোলার