ঢাকা: পর্দা উঠতে যাচ্ছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মূলপর্ব। ১০ দলের এ মহাযজ্ঞে ক্রিকেট বিশ্ব দেখবে তারকাদের নৈপূণ্য।
ইনজুরি সমস্যা, অবৈধ বোলিং অ্যাকশন, অবসর ও টিম ম্যানেজম্যান্টের কারণে এবারের আসরে দেখা যাবে না বেশ কয়েকজন তারকাদের।
পাঠকদের জন্য ২০১৬ টি-২০ বিশ্বকাপে খেলছেন না এমন ৫ তারকা ক্রিকেটারকে নিয়ে সাজানো হয়েছে এই আয়োজন।
মিচেল স্টার্ক: সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার অভিজ্ঞ পেসার মিচেল জনসন অবসরে যাওয়ার পর দলের ফাস্ট বোলিংয়ে মূল দায়িত্ব এসে পড়ে মিচেল স্টার্কের ওপর। তবে অ্যাঙ্কেল ইনজুরির কারণে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে খেলতে পারছেন না তিনি। তাই অজি দলকে পেস আক্রমণে ভরসা রাখতে হচ্ছে জস হ্যাজেলউড, জন হ্যাস্টিংস ও নাথান কোল্টার-নাইলের ওপর।
সুনিল নারাইন: তিনি টি-২০ ফরম্যাটের এক নম্বর বোলার। বিশ্বের যে কোনো বাঘা ব্যাটসম্যানদের জন্য উইকেটে ত্রাস সৃষ্টি করে তার বিধ্বংসী স্পিন। তবে গত নভেম্বরে তার বোলিংয়ে অবৈধ অ্যাকশন খুঁজে পাওয়া যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড তাকে প্রথমে দলে রাখলেও, নারাইন পরে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেন। ২০১২ সালে ক্যারিবীয়দের টি-২০ বিশ্বকাপ জয়ী দলের ক্রিকেটার ছিলেন তিনি।
ব্র্যান্ডন ম্যাককালাম: এবারের বিশ্বকাপে না থাকার তালিকায় সবচেয়ে বড় নামটি হয়তো ম্যাকলাকাম। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে ভুল সময়ে অবসরে গেছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক এই অধিনায়ক। তার চওড়া ব্যাট হয়তো কিউইদের এবার অনেক এগিয়ে রাখতো। আর আইপিএলের সুবাদে ভারতের মাটিতে তার ব্যাট যে কোনো বোলারের বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মকই থাকতো।
কেভিন পিটারসেন: পিটারসেনকে ক্রিকেট বোদ্ধারা ভালোবাসুক বা ঘৃণা করুক, তিনি টি-২০ ক্রিকেটের সেরা একজন ব্যাটসম্যান। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়েও তিনি রেখেছিলেন দারুণ অবদান। ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের রোশানলে পড়ে জাতীয় দলে ক্যারিয়ার শেষ হয়েছে ড্যাশিং এ ব্যাটসম্যানের। এবারের বিশ্বকাপে তার কথায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে পড়বে।
মরনে মরকেল: গত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে তিন ফরম্যাটেই নিয়মিত পারর্ফম করে আসছেন মরকেল। চলমান বিশ্বকাপে প্রোটিয়া নির্বাচকরা কেন যে তার ওপর আস্থা রাখতে পারেনি, সেটি বিস্ময়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার এই দলে মরকেলের বদলে পেস আক্রমণে রয়েছে ডেল স্টেইন, কাগিসো রাবাদা, ক্রিস মরিস ও কাইল অ্যাবোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৪ ঘণ্টা, ১৫ মার্চ, ২০১৬
এমএমএস