ঢাকা: কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বিশ্বকাপের হাইভোল্টেজ ম্যাচে আর কিছু পরেই মাঠে নামবে পাকিস্তান-ভারত। বিশ্বমঞ্চের ১৯তম ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।
নিউজিল্যান্ডের কাছে লজ্জাজনক হার দিয়ে শুরু করা ‘ফেভারিট’ টিম ইন্ডিয়ার সামনে এবার আত্মবিশ্বাসী পাকিস্তান। আত্মবিশ্বাসী বলার কারণও আছে। ভারতের হারের বিপরীতে দাপুটে জয় দিয়েই বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেন শহীদ আফ্রিদিরা। ইডেন গার্ডেনসে অনুষ্ঠিত সুপার টেনের গ্রুপ-টু’র ম্যাচটিতে (১৬ মার্চ) বাংলাদেশকে ৫৫ রানে হারায় ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে সবার মুখে মুখেই ছিল স্বাগতিক ভারতই অন্যতম ফেভারিট। কিন্তু, সুপার টেনের উদ্বোধনী ম্যাচ শেষেই কিনা দৃশ্যপট বদল! এশিয়া কাপ জয়ী কোহলিদের সামনে এখন ছন্দে ফেরার চ্যালেঞ্জ।
টি-টোয়েন্টির পরিসংখ্যান ঘাটলে অবশ্য সন্দেহাতীতভাবেই ধোনিরা এগিয়ে থাকবেন। ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরমেটে এখন পর্যন্ত সাতবারের দেখায় ছয়টিতেই জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। এর মধ্যে টি-২০ বিশ্বকাপে চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে সবকটিতেই হারের লজ্জায় ডোবে পাকিস্তান।
কিন্তু, ইডেনে যেন ভাগ্য দু’হাত ভরে দেয় পাকিস্তানকে! অবশ্য সেটি ওডিআইতে। এই মাঠে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডেতে চারবারের দেখায় রেকর্ড চার ম্যাচেই জয় পায় পাকিস্তান।
ভারতের বিপক্ষে আফ্রিদি-হাফিজদের সবশেষ জয়টি আসে ২০১২ সালের ডিসেম্বরে। সেবার ভারত সফরে দুই ম্যাচের টি-২০ সিরিজটি ১-১ সমতায় নিষ্পত্তি হয়। এ ফরমেটে দু’দলের মধ্যকার প্রথম সাক্ষাৎটি ছিল রোমাঞ্চে ভরপুর।
ডারবানের ২০০৭ বিশ্বকাপের টাই ম্যাচটি বোল-আউটে (বর্তমানে সুপার ওভারে টাই ম্যাচ নিষ্পতি হয়) জিতে নেন শেবাগ-গম্ভিররা। টি-টোয়েন্টি প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালেই আবারো মুখোমুখি হয়েছিল দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ। মিসবাহ উল হকের (৪৩) অসাধারণ ইনিংসে ভর করে জয়ের দ্বারপ্রান্তেই ছিল পাকিস্তান। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় পাঁচ রানের জয়ে বিশ্বকাপ জয়ের উল্লাসে মাতে টিম ইন্ডিয়া।
এবার ষষ্ঠ আসরে এসে দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপায় চুমু খাওয়ার স্বপ্নে বিভোর ‘ফেভারিট’ তকমা পাওয়া ভারত। কিন্তু, ঘরের মাঠে কোহলিদের শুরুটা হলো হতাশার। সেই সুযোগটাই নিতে চাইছে পাকিস্তান। সব মিলিয়ে রোমাঞ্চকর এক জমজমাট ম্যাচ দেখার অপেক্ষায় ক্রিকেট বিশ্ব।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ১৯ মার্চ ২০১৬
এমআর