ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ নেওয়াজ বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে শুধু মুখের কথা নয়, বাস্তবেও কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করা হবে না। এক্ষেত্রে অপরাধী যে পর্যায়ের হোক, তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়ের নিজ কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) দেশের ৭২১টি ইউপিতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এ প্রসঙ্গে শাহ নেওয়াজ বলেন, রোববার রাত দুপুর থেকে কোনো পক্ষ বা প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সদা সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কিছু কিছু স্থানে বিছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। এটা আমাদের নজরে এসেছে। তাই পুলিশ, র্যাবসহ অন্যান্য বাহিনীকে কঠোর নির্দেশ দিয়েছি, যেন সন্ত্রাসী কার্যক্রম শক্ত হাতে হ্যাল্ডেল করা হয়।
এ সময় তিনি রাজনৈতিক নেতাদের নির্বাচনে সহিষ্ণুতার সঙ্গে অংশ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
শাহ নেওয়াজ ভোটারদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা প্রতি কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়োজিত করেছি। ভোটের দিন স্ট্রাইকিং ফোর্সও থাকবে। কাজেই আপনারা ভোট দিতে যাবেন। কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম সহ্য করা হবে না, সেভাবেই নির্দেশনা দিয়েছে। এরপরও কোনো অসুবিধা হলে আমাদের জানাবেন। শুধু মুখের কথাই নয়, আমরা বাস্তবেও কোনো ভাবেই সন্ত্রাসী কার্যক্রম বরদাশত করবো না। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কোথাও কোনো ছাড় দেবো না।
‘নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেটদের বেশ কয়েকদিন আগেই নিয়োজিত করা হয়। শেষ পাঁচদিন প্রস্তুতি আরও শক্তিশালী হয়। এ সময় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য বাহিনীর ফোর্সও মোতায়েন থাকে। কাজেই ভোটের দিন সবাই নির্দ্বিধায়, নির্বিঘ্নে ও নিঃসংকোচে ভোট দিতে পারবেন- যোগ করেন এ নির্বাচন কমিশনার।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তরা নির্বাচনে লাঞ্ছিত বা কোনো রকম হামলার শিকার হলে সঙ্গে সঙ্গে আমরা চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেবো। এখানে কোনো আপোসের প্রশ্নই আসে না।
নির্বাচন কর্মকর্তাদের আশ্বস্ত করতে চাই, তারা যেন মুখ বুঝে কোনো অন্যায় সহ্য না করেন। আমাদের নির্দ্বিধায় জানালে অবশ্য আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেবো বলেও মন্তব্য করেন শাহ নেওয়াজ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৬
ইইউডি/টিআই