ঢাকা: লো-স্কোরিং ম্যাচে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার আর ৬৭ রান। দশ ওভার শেষে ক্যারিবীয়দের সংগ্রহ দুই উইকেটে ৫৬ রান।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি ফ্লেচার ৩১ বলে ৪১ ও দিনেশ রামদিন ১ রানে অপরাজিত রয়েছেন। দুই উইকেটের পতন হলেও এখনো ব্যাটিংয়ে নামেননি গেইল।
রোববার (২০ মার্চ) বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ক্যারিবীয় অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি। নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১২২ রানের স্বল্প পুঁজি দাঁড় করায় লঙ্কানরা।
সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ৫.২ ওভারে ৩৯ রান তোলেন জনসন চার্লস (১৩ বলে ১০) ও ও ফ্লেচার। ওয়ানডাউনে নামা মারলন স্যামুয়েলস মাত্র ৩ রান করেই সাজঘরে ফেরেন।
এর আগে ক্যারিবীয়দের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে বড় স্কোর গড়তে ব্যর্থ হয় শ্রীলঙ্কা। দলীয় ৪৭ রানের মধ্যে পাঁচ উইকেট হারিয়ে চাপের মুখে পড়ে লঙ্কারা। তবে ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে ৪৪ রান যোগ করে বিপর্যয় সামাল দেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ও থিসারা পেরেরা।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারের প্রথম বলেই তিলকরত্নে দিলশানকে (১২) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন কার্লোস ব্রাথওয়েট। দলীয় সংগ্রহ ছিল ২০। ১২ রান যোগ হতেই রান আউটের ফাঁদে পড়েন আরেক ওপেনার দিনেশ চান্দিমাল (১৬)।
পাওয়ার প্লে শেষে সপ্তম ওভারের শুরতেই স্যামুয়েল বদ্রির বলে আন্দ্রে ফ্লেচারের তালুবন্দি হন লাহিরু থিরিমান্নে (৫)। এরপর ইনিংসের নবম ওভারে আবারো উইকেট উল্লাসে মাতেন বদ্রি। প্রথম বলেই ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের ফাঁদে পড়েন চামারা কাপুগেদারা (৬)।
একই ওভারের চতুর্থ বলে বদ্রির তৃতীয় শিকারে পরিণত হন মিলিন্ডা সিরিবর্ধনে (০)। ষষ্ঠ উইকেটে পেরেরার সঙ্গে ৪৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন অধিনায়ক ম্যাথিউস (২০)। আর ২৯ বলে ৪০ রানের ইনিংসে দলের মাঝারি স্কোরের ভিত গড়ে দেন পেরেরা। ডোয়াইন ব্রাভোর করা শেষ ওভারের পঞ্চম বলে তিনি আন্দ্রে রাসেলের হাতে ধরা পড়েন।
ক্যারিবীয়দের হয়ে বদ্রি তিনটি, ব্রাভো দু’টি উইকেট নেন। একটি করে উইকেট লাভ করেন রাসেল ও ব্রাথওয়েট।
দু’দলের এটি দ্বিতীয় ম্যাচ। জয় দিয়েই তারা টি-২০ বিশ্বকাপের সুপার টেন মিশন শুরু করে। এ ম্যাচে যারা জিতবে তারাই গ্রুপ ‘ওয়ান’ থেকে সেমিফাইনালের দৌড়ে এগিয়ে যাবে।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে ক্রিস গেইলের অপরাজিত শতকে ভর করে ইংল্যান্ডকে ছয় উইকেটে হারায় ক্যারিবীয়রা। পরদিনই (১৭ মার্চ) আফগানিস্তানের বিপক্ষে ছয় উইকেটের জয় পায় শ্রীলঙ্কা। ওই ম্যাচটিতে ৮৩ রানের অপরাজিত ইনিংস উপহার দেন তিলকরত্নে দিলশান।
টি-টোয়েন্টিতে আটবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে ছয় ম্যাচেই জয় তুলে নেয় লঙ্কানরা। এর মধ্যে বিশ্বকাপে ছয়বারের দেখায় পাঁচটিতেই হার মানে ক্যারিবীয়রা। তবে ওই একটি জয়ই ও. ইন্ডিজের স্মরণীয় হয়ে থাকবে। কলম্বোয় ২০১২ আসরের ফাইনালে স্বাগতিকদের কাঁদিয়ে শিরোপা উল্লাসে মেতেছিলেন স্যামি-গেইল-স্যামুয়েলসরা।
শ্রীলঙ্কা একাদশ: দিনেশ চান্দিমাল (উইকেটরক্ষক), তিলকরত্নে দিলশান, লাহিরু থিরিমান্নে, চামারা কাপুগেদারা, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস (অধিনায়ক), মিলিন্ডা সিরিবর্ধনে, থিসারা পেরেরা, নুয়ান কুলাসেকারা, জেফরি ভান্ডারসে, দুশমান্থা চামিরা ও রঙ্গনা হেরাথ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: জনসন চার্লস, ক্রিস গেইল, মারলন স্যামুয়েলস, আন্দ্রে ফ্লেচার, ডোয়াইন ব্রাভো, দিনেশ রামদিন (উইকেটরক্ষক), আন্দ্রে রাসেল, ড্যারেন স্যামি (অধিনায়ক), কার্লোস ব্রাথওয়েট, স্যামুয়েল বদ্রি ও সুলেমান বেন।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩০ ঘণ্টা, মার্চ ২০, ২০১৬
আরএম