ঢাকা: উইকেটে সেট হয়েও দলের হাল ধরতে ব্যর্থ হলেন আহমেদ শেহজাদ (৩০)। ১৩তম ওভারের মাথায় মিচেল স্যান্টনারের বলে মার্টিন গাপটিলের তালুবন্দি হন পাকিস্তান ওপেনার।
এ রিপোর্ট লেখা অবধি, পাকিস্তানের সংগ্রহ ১৪ ওভার শেষে তিন উইকেটে ১১৫ রান। আফ্রিদি ১৪ ও আকমল ১২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
এর আগে ২৫ বলে ৪৭ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন আরেক ওপেনার শারজিল খান। ইনজুরি আক্রান্ত মোহাম্মদ হাফিজের জায়গায় দলে সুযোগ পাওয়া খালিদ লতিফ করেন ৩ রান।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) চন্ডিগড়ে মোহালির বিন্দ্রা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক উইলিয়ামসন। বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় গ্রুপ ‘টু’র হাইভোল্টেজ ম্যাচটি শুরু হয়। টি-২০ বিশ্বকাপের শেষ চারে উঠার লক্ষ্যে দু’দলের জন্যই এটি ‘মাস্ট উইন’ ম্যাচ।
ওপেনিং জুটিতে পাওয়ার প্লে’র ছয় ওভারে ৫৫ রান তোলেন গাপটিল ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। অষ্টম ওভারের মাথায় উইলিয়ামসনকে (১৭) ফিরিয়ে কিউইদের প্রথম উইকেটের পতন ঘটান মোহাম্মদ ইরফান।
পরের ওভারেই কলিন মুনরোকে (৭) শারজিল খানের ক্যাচে পরিণত করেন শহীদ আফ্রিদি। তবে অপর প্রান্ত আগলে রেখে রানের চাকা সচল রাখেন গাপটিল। ১৫তম ওভারের মাথায় মোহাম্মদ সামির বলে বোল্ড হওয়ার আগে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ৪৮ বলে ৮০ রানের ‘বিস্ফোরক’ ইনিংস। তাতে ছিল ১০টি চার ও ৩টি ছক্কার মার।
লুক রনকিকে (১১) সঙ্গে নিয়ে পঞ্চম উইকেট জুটিতে ৩২ রান যোগ করেন রস টেইলর। ২৩ বলে ৩৬ রান করে অপরাজিত থাকেন টেইলর। তার আগে ১৪ বলে ২১ রান করে আউট হন কোরি অ্যান্ডারসন। নির্ধারিত ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড় করায় ব্ল্যাক ক্যাপসরা।
পাকিস্তানের হয়ে দু’টি করে উইকেট নেন সামি ও আফ্রিদি। ইরফান চার ওভারে ৪৬ রানের বিনিময়ে একটি উইকেট লাভ করেন। চার ওভারে ৪১ রানের খরুচে বোলিংয়ে উইকেট শূন্য থাকেন দলের অন্যতম সেরা বোলার মোহাম্মদ আমির।
সুপার টেনে স্বাগতিক ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে আগেই সেমিতে এক পা দিয়ে রাখে কিউইরা। অন্যদিকে, বাংলাদেশের বিপক্ষে দারুণ জয় পেলেও চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী টিম ইন্ডিয়ার কাছে হার মানে পাকিন্তান। অবশ্য, রান-রেটে এগিয়ে থাকায় শীর্ষে থাকা নিউজিল্যান্ডের পরেই পাকিস্তানের অবস্থান। সমান দুই ম্যাচ শেষে এর পরের অবস্থানে যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, বাংলাদেশ।
টি-টোয়েন্টিতে ১৪ বারের দেখায় আটটিতে জয় পায় পাকিস্তান। ছয়টি ম্যাচ জেতে ব্ল্যাক ক্যাপসরা। বিশ্বকাপ মঞ্চেও বেশ এগিয়ে ২০০৯ আসরের চ্যাম্পিয়নরা। চারবারের মুখোমুখি লড়াইয়ে তিন ম্যাচেই জয় তুলে নেয় টিম পাকিস্তান।
ফিটনেসে ঘাটতি থাকায় এ ম্যাচে দলে নেই মোহাম্মদ হাফিজ ও পেসার ওয়াহাব রিয়াজ। হাফিজের জায়গায় একাদশে সুযোগ পেয়েছেন খালিদ লতিফ। আর এক ম্যাচের বিরতিতে স্কোয়াডে ফিরেছেন বাঁহাতি স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম। অন্যদিকে, উইনিং কম্বিনেশন বজায় রেখে আগের ম্যাচের একাদশ নিয়েই মাঠে নামে নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তান একাদশ: শারজিল খান, আহমেদ শেহজাদ, খালিদ লতিফ, উমর আকমল, শোয়েব মালিক, সরফরাজ আহমেদ (উইকেটরক্ষক), শহীদ আফ্রিদি (অধিনায়ক), ইমাদ ওয়াসিম, মোহাম্মদ আমির, মোহাম্মদ সামি ও মোহাম্মদ ইরফান।
নিউজিল্যান্ড একাদশ: মার্টিন গাপটিল, কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক), কলিন মুনরো, কোরি অ্যান্ডারসন, রস টেইলর, গ্রান্ট এলিয়ট, মিচেল সান্টনার, লুক রনকি (উইকেটরক্ষক), অ্যাডাম মিলনি, মিচেল ম্যাকক্লেনাগান ও ইশ শোধি।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০১৬
আরএম