বেঙ্গালুরু থেকে: বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচ মানেই মাঠ ও মাঠের বাইরে বাড়তি উত্তেজনা। বাংলাদেশ ভারত ম্যাচ মানেই স্নায়ু্ক্ষয় ও সামাজিকমাধ্যম গুলোতে আলোচনা ও সমালোচনার ঝড়।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের এবারের আসরের শুরুটা ভাল হয়নি টিম বাংলাদেশের। ইডেন গার্ডেনে প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫৫ রানে হারের পর দ্বিতীয় ম্যাচে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৩ উইকেটে হেরে গেছে লাল-সবুজের জার্সিধারীরা। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিব জানান, ‘অঙ্কের হিসেবে সেমিফাইনাল সম্ভব হলেও বাস্তবে কাজটি আমাদের জন্য কঠিন হয়ে গেছে। ’
তারপরেও বিশ্বমঞ্চের শেষ দশের কোনো ম্যাচে জয় বলে কথা। তাও আবার প্রতিপক্ষ ভারত। তাই ক্রিকেটে সব সময় শক্তিশালী দলটির বিপক্ষে টাইগারদের এই ম্যাচটি বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে একটু বাড়তি মনোযোগ পাচ্ছে। কেননা মাশরাফিদের সাম্প্রতিক ফর্ম এবং শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সাম্প্রতিক জয়গুলো এই ম্যাচটিকে দিচ্ছে দুই এশিয়ান জায়ান্টের লড়াইয়ের তকমা। সঙ্গত কারণেই এই ম্যাচটি এশিয়াতো বটেই সারা বিশ্বের ক্রিকেটানুরাগীদের আগ্রহের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
একথা ঠিক যে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার টি-টোয়েন্টির দ্বৈরথে পরিসংখ্যানগত দিক থেকে এগিয়ে ভারত। দলটির বিপক্ষে এই পর্যন্ত চারবারের দেখায় একটিতেও জয় পায়নি বাংলাদেশ। তারপরেও বিশ্বমঞ্চে ভারতের বিপক্ষে জয় পেতে প্রস্তুত টাইগাররা। আর এই ম্যাচে ধোনিদের বিপক্ষে জয় নিয়েই এবারের বিশ্বকাপকে স্মরণীয় করে রাখার ইঙ্গিত দিলেন টাইগার সহ-অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।
মঙ্গলবার (২২ মার্চ) বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের সম্মেলন কক্ষে ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সাকিবতো বলেই ফেললেন ‘পরের দুই ম্যাচে স্মরণীয় কিছু করতে চাই। ’ প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষে টাইগাররা স্মরণীয় কিছু করতে চাওয়া মানেইতো জয়। আর তাই যদি হয় সেটা হবে ইতিহাস। কেননা ভারতের বিপক্ষে এটাই হবে টি-টোয়েন্টি ফরমেটে বাংলাদেশের প্রথম জয়। সাকিব মনে করছেন ভারতের বিপক্ষে এমন ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশ পেতে পারে যদি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হওয়া ভুলগুলো তারা শুধরাতে পারেন।
এদিকে, টানা দুই ম্যাচ হেরে সেমিফাইনালে উঠার সম্ভাবনা বাংলাদেশের না থাকলেও প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৪৭ রানে হার আর দ্বিতীয়টিতে পাকিস্তানকে ৬ উইকেটে হারিয়ে এক জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয়স্থানে থাকায় ভারতের জন্য এই ম্যাচটিতে জয় আবশ্যক। ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে আশিষ নেহরাও এমনই ইঙ্গিত দিলেন। ভারতের জন্য বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়টি শুধু গুরুত্বপূর্ণই না, মহাগুরুত্বপূর্ণ। তাই জয়ের কোনো বিকল্পই তাদের আপাতত জানা নেই। শুধু তাই না, বাংলাদেশের কাছে হেরে গেলে টিম ইন্ডিয়া নামের জৌলুসটিও যে আর থাকবে না।
শুধু সাকিব-তামিমই নয়, বাংলাদেশের বিপক্ষে জয়ের পথে টাইগার কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ ভারতের অন্যতম প্রতিবন্ধক হবে এ কথাটিও নেহরা অকপটে স্বীকার করেছেন। মুস্তাফিজকে ঈশ্বর প্রদত্ত বোলার আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘অভিষেকের পর থেকেই মুস্তাফিজ দারুণ ফর্মে আছে। তাছাড়া ও ঐশ্বরিক ক্ষমতা প্রদত্ত স্লোয়ার রপ্ত করেছে যা বিশ্বের অন্যান্য বাঁহাতি বোলারদের চাইতে সম্পূর্ণ আলাদা। ’
এবার দেখার পালা জয়ের শেষ মালাটা কে পড়বেন। মাশরাফি নাকি ধোনি? চিন্নাস্বামী প্রস্তুত, প্রস্তুত মাশরাফি, ধোনিও।
বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ ২০১৬
এমআর