ঢাকা: ভারতের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনের ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড। ম্যাচ শেষে পাকিস্তানের দলপতি শহিদ আফ্রিদি ক্রিকেট ক্যারিয়ারের ইতি টানার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল পাকিস্তান। তবে, নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে হারে আফ্রিদির দল। আর তৃতীয় ম্যাচেও হারের ধারা বজায় রাখে পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টেনের চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলতে হবে আফ্রিদি বাহিনীকে। তবে, টুর্নামেন্টে টিকে থাকার সম্ভাবনাও অনেকটাই শেষ হয়ে গেছে পাকিস্তানের।
তৃতীয় ম্যাচ শেষে আফ্রিদি জানান, সম্ভবত অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিই হচ্ছে আমার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও আমরা পূর্বের ভুলগুলো করেছি। এটা দলের জন্য মোটেও ভালো হয়নি। আমি আমার ক্যারিয়ারের একেবারেই শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। অজিদের বিপক্ষে ম্যাচটির অপেক্ষায় রয়েছি।
২০১৪ সালে পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি দলের নেতৃত্বভার পাওয়া আফ্রিদি অবসর প্রসঙ্গে আরও বলেন, আমি চেয়েছিলাম ২০১৬ সালের বিশ্বকাপ খেলতে। আমি সেটা পেরেছি বলে খুশি। পাকিস্তানের মতো দলের হয়ে এই পর্যায় পর্যন্ত ক্রিকেট খেলা সত্যিই দারুণ গর্বের বিষয়।
গত এশিয়া কাপের মিশনে ভারতের বিপক্ষে হারের পর শহীদ আফ্রিদির নেতৃত্ব নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা। স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে হেরে আসর থেকে বিদায় নেওয়ার পর সেই সমালোচনার উত্তাপ আরও বাড়ে। এরপরও ভারতের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তার উপর নির্ভর করেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার টেনের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারিয়ে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিলেন শহীদ আফ্রিদি। টাইগারদের বিপক্ষে খেলেছেন ম্যাচ সেরা ইনিংস। তাতে স্বস্তিতে ছিল পিসিবিও। কিন্তু, পরের ম্যাচেই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে হেরে যাওয়ায় আবারো আফ্রিদিকে নিয়ে শুরু হয় সমালোচনা।
সমালোচনার মাত্রাটা এতটাই বেশি ছিল যে, খোদ পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খান চাইছেন বিশ্বকাপ শেষেই আফ্রিদিকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দিতে। এমনকি খেলোয়াড় হিসেবেও তাকে হয়তো খুব বেশিদিন দেখা যাবে না-এমন ইঙ্গিতও দিয়েছিলেন শাহরিয়ার।
শাহরিয়ার খান জানান, ‘ফল যা-ই হোক না কেন, আফ্রিদি আর অধিনায়ক থাকছেন না। ভারতের মাটিতে বিশ্বকাপ শেষে সে অবসর নিতে চেয়েছিল। কিন্তু, বিশ্বকাপ শেষে যদি তার মানসিকতার পরিবর্তন হয় আর সে খেলা চালিয়ে যেতে চায়, আমরা ভেবে দেখবো একজন ক্রিকেটার হিসেবে তাকে দলে প্রয়োজন আছে কী না। তবে, নেতৃত্বের ভার তাকে পুনরায় দেওয়া হবে না।
তিনি আরও যোগ করে বলেন, আমরা সকলে জানি আফ্রিদি বড় মাপের ক্রিকেটার। সে আমাদের দলকে অনেক ম্যাচ জিতিয়েছে। একজন আদর্শ ক্রিকেটারের যা যা প্রয়োজন তার সবই আছে আফ্রিদির মাঝে। এ মুহূর্তে সমর্থকদের প্রয়োজন তার পাশে থাকা। তবে, বিশ্বকাপের আসর শেষ হলেই তাকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হবে। এমনকি খেলোয়াড় হিসেবেও তাকে হয়তো খুব বেশিদিন দেখা যাবে না।
বাংলাদেশ সময়: ০০১৭ ঘণ্টা, ২৩ মার্চ ২০১৬
টিআই/এমআর