ঢাকা: সকাল ৮টা থেকেই মিরপুরের একাডেমি মাঠে ব্যাট-বলের ধুপধাপ আওয়াজ। মাঠের দুই পাশে অনুশীলনে ব্যস্ত দুটি দল।
কোচদের ব্যস্ততা তাই সবচেয়ে বেশি। এভাবে দুপুর গড়িয়ে বিকেল অবধি চলবে অনুশীলন। একাডেমি মাঠের এমন ব্যস্ততা থামবে ২১ এপ্রিল।
২২ এপ্রিল মাঠে গড়াবে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের (ডিপিএল) ২০১৫-১৫ মৌসুমের খেলা। ১২ দলের মধ্যে ৮ দলই প্রতিদিন দুই ঘন্টা করে অনুশীলন করছে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে। বেশ কয়েকটি ক্লাবের নিজস্ব মাঠ থাকলেও নেই ভালোমানের টার্ফ (মাটির উইকেট)। এ জন্য একাডেমি মাঠকেই বেছে নিচ্ছে ক্লাবগুলো। এতগুলো দল এক মাঠে অনুশীলন করায় ডিপিএলের উত্তাপটাও ছড়িয়ে যাচ্ছে ক্রিকেটার থেকে দর্শকদের মাঝেও।
ক্লাব ক্রিকেটের লড়াই, তাতে কি? জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা তো আছেন অনুশীলনে, ক্লাবের প্রতিনিধি হয়ে। অনুশীলনে তাই দর্শকরাও চোখ রাখছেন মাশরাফি, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ, সাব্বিরদের দিকে। অনেক দর্শকের চোখ আবার দীর্ঘসময় জাতীয় দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটার তাপস বৈশ্য, তুষার ইমরান, শাহরিয়ার নাফিস, আব্দুর রাজ্জাক, নাঈম ইসলামদের দিকে।
স্টেডিয়ামের এক নম্বর গেটের সামনের রাস্তা থেকে একাডেমি মাঠে উঁকি দেয়া এক দর্শক তীব্র রোদের মাঝে দাঁড়িয়ে দেখছিলেন অনুশীলন। এক সাথে এত ক্রিকেটার দেখে অবাক কলেজ পড়ুয়া তরুণটি, ‘চেনার চেষ্টা করছি। দূর থেকে আসলে বোঝা যায় না। তবে তাসকিনকে চিনতে পারছি। ’ এর পর একে একে জাতীয় দলের সবাইকেই চিনেছেন ওই তরুণ। চিনেছেন তাপস বৈশ্য, তুষার ইমরান, আব্দুর রাজ্জাক, শাহরিয়ার নাফিস, নাঈম ইসলামদেরও।
ক্রিকেটারদের মধ্যে প্রিমিয়ার লিগ মানেই অন্যরকম রোমাঞ্চ। ঘরোয়া ক্রিকেটের জমজমাট এ লিগটাই তাদের রুটি-রুজির মূল উৎস। তাইতো সবাই বেশ সিরিয়াস। জাতীয় দলের বাইরের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার যারা আছেন তারাও বেশ মনযোগী অনুশীলনে। দল কেমন হলো, শক্তির জায়গা কোনটা, দূর্বলতা কি- এসব নিয়ে অন্য ক্লাবের ক্রিকেটারের সঙ্গেও চলছে আলোচনা। হচ্ছে দুষ্টুমি-খুনসুটি। কয়েকদিন পর এরাই হয়ে উঠবেন একে অপরের মাঠের প্রতিপক্ষ।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৬ ঘণ্টা, ১৬ এপ্রিল, ২০১৬
এসকে/এমএমএস