ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

লিখনের স্পিন জাদুতে আবাহনীর জয়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ২২, ২০১৬
লিখনের স্পিন জাদুতে আবাহনীর জয় ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ফতুল্লা থেকে: যুবায়ের হোসেন লিখনের স্পিন জাদুতে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ক্রিকেটে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মাশরাফির কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে ৭ উইকেটে হারিয়ে মৌসুমের প্রথম জয় তুলে নিল আবাহনী লিমিটেড। কলাবাগানের দেয়া ১৪০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ২৮.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছায় তামিম ইকবালরা।

 

শুক্রবার (২২ এপ্রিল) খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে আবাহনীর বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামে কলাবাগান। তবে ব্যাটিংয়ে নামাটা তাদের জন্য ততটা সুখকর হয়নি। দলীয় ৩৭ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুই টপঅর্ডার সাদমান ইসলাম ও জসিমউদ্দিন। সাদমানকে ব্যক্তিগত শূন্য রানে ফিরিয়েছেন তাসকিন আর জসিমকে ১৬ রনে ফেরান আবুল হাসান।

দুই টপঅর্ডারের ফিরে যাবার পর ব্যাট হাতে বেশ ভালোই জবাব দিচ্ছিলেন জিম্বাবুইয়ান ব্যাটসম্যান হ্যামিলটন মাসাকাদজা। কিন্তু তার ব্যাটকে খুব বেশি দূর এগিয়ে যেতে দেননি টাইগার লেগ স্পিনার যুবায়ের হোসেন লিখন। ১৬তম ওভারের তৃতীয় বলে মাসাকাদজাকে (৪১ রান) বোল্ড আউটের ফাঁদে ফেলেন যুবায়ের।

মাসাকাদজার ফিরে যাবার পর কলাবাগানের হয়ে ব্যাট হাতে কিছুটা জ্বলে উঠেছিলেন তাসামুল হক। ২৫তম ওভারে সাকলাইন সজিবের তৃতীয় বলটি তাসামুলের স্ট্যাম্পে আঘাত হানলে ব্যক্তিগত ৩৭ রানেই থামে তার ইনিংস। এরপর আর কোনো ব্যাটসম্যানই দাঁড়াতে না পারলে ৩৩.১ ওভারে ১৪০ রানে থামে কলাবাগানের ইনিংস।

আবাহনীর বোলারদের মধ্যে এদিন সব চেয়ে সফল ও উজ্জ্বল ছিলেন যুবায়ের হোসেন লিখন। ৯.১ ওভার বল করে ৩৪ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট তুলে নেন যুবায়ের লিখন। তাসকিন ও আবুল হোসেন নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। দলের হয়ে বাকি উইকেট তুলে নেন সাকলাইন সজিব।

জবাবে জয়ের জন্য ১৪১ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ১১ ও ব্যক্তিগত ৭ রানে রান আউটের ফাঁদে পড়ে ক্রিজ ছাড়া হন আবাহনীর ওপেনার তামিম ইকবাল।

তামিমের ফিরে যাবার পর ঠিক যেন স্বস্তিতে ছিলেন না লিটন দাস ও অভিষেক মিত্র। কেননা, ইনিংসের নবম ওভারে দেওয়ান সাব্বিরের দারুণ এক ডেলিভারিতে ব্যক্তিগত ১২ রানে মাসাকাদজার হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস।

লিটনের পরে উইকেটে থিতু হতে চেয়েও পারেননি অভিষেক। ব্যক্তিগত ৩২ রানে নিহাদের বলে জসিমের হাতে স্ট্যাম্পড হয়ে বিদায় নেন অভিষেক। অভিষেকের ফিরে যাবার পর দলের হাল ধরেন ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান কাউল ও নাজমুল হোসেইন শান্ত। কাউলের অপরাজিত ৪৪ ও শান্তর অপরাজিত ৩৫ রানে মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে ১৪২ রান সংগ্রহ করে লক্ষ্যে পৌঁছে আবাহনী।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, ২২ এপ্রিল ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।