ঢাকা: মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ২৮৫ রানের স্কোর তাড়া করে জেতা যে কোনো ক্লাবের জন্যই কঠিন। এ রান টপকাতে গিয়ে বেশ বিপদেই পড়তে হয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের টপঅর্ডারকে।
মোহামেডানের ছুঁড়ে দেওয়া ২৮৬ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ৫৩ রান তুলতেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে ব্রাদার্স। জাকির হাসান, নুর আলম ও ইফতেখার সাজ্জাদের প্রচেষ্টায় শেষ অবধি ২০৭ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা।
ফলে, ৭৮ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে এতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান।
মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সকালে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্তকে শুরুতে যথার্থ প্রমাণ করেছিলেন ব্রাদার্সের বোলাররা। দলীয় ২ ও ২১ রানে ওপেনার ইজাজ আহমেদ ও সৈকত আলী সাজঘরে ফিরলে চাপে পড়ে মোহামেডান। সেই চাপকে জয় করেন শ্রীলঙ্কান রিক্রুট উপল থারাঙ্গা ও ‘মি: ডিপেন্ডেবল’ খ্যাত মুশফিকুর রহিম। তৃতীয় উইকেট জুটিতে এ দু্ই ব্যাটসম্যান ১৩৫ রান যোগ করে বড় সংগ্রহের ভিত গড়ে দেন মোহামেডানকে। মুশফিক ৮০ বলে ৭২ ও থারাঙ্গা ৮১ বলে ৭০ রান করে সাজঘরে ফেরেন।
এ দুই ব্যাটম্যানের বিদায়ের পর আরিফুল হকের ৪৭ বলে ৪১ ও নাজমুল হোসেন মিলনের ৪১ বলে ৭০ রানের ঝোড়ো ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৫ রানের বড় সংগ্রহ দাঁড় করায় মোহামেডান। মিলনের ৪ ছক্কা ও ৫ চারের তাণ্ডবে শেষ ৫ ওভারে ৬৮ রান তোলে মোহামেডান।
ব্রাদার্সের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন মোহাম্মদ শহীদ ও আসিফ হাসান। একটি করে উইকেট পান নুর আলম ও তুষার ইমরান।
২৮৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্রাদার্সের ওপেনার ইমরুল কায়েস রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন। আরেক ওপেনার নাফিস ইকবাল করেন ২৬ রান। তিন নম্বরে নামা দলপতি শাহরিয়ার নাফিসও নিজেদের প্রথম ম্যাচে ব্যর্থ (৪)। চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে আসা জিম্বাবুইয়ান শেন উইলিয়ামস ৮ রান করেন। তুষার ইমরানের ব্যাট থেকে আসে মাত্র ১১ রান।
জাকির হাসান ইনিংস সর্বোচ্চ ৬১ রান করেন। উইকেটরক্ষক এই ব্যাটসম্যান ৮২ বলে তিনটি করে চার ও ছক্কায় তার ইনিংসটি সাজান। ইফতেখার সাজ্জাদের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। শেষ দিকে দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমাতে নুর আলম ৩৬ বলে করেন ৩৬ রান।
নির্ধারিত ওভারের এক বল বাকি থাকতে ২০৭ রানেই থেমে যেতে হয় ব্রাদার্সকে।
মোহামেডানের হয়ে দুটি করে উইকেট নেন হাবিবুর রহমান ও এনামুল হক জুনিয়র। তিনটি উইকেট দখল করে দলের সেরা বোলার সুবাশিষ রায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২৫ ঘণ্টা, ২৪ এপ্রিল ২০১৬
এসকে/এমআর