ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সৌম্য-মিথুনের কাছে হারলো তামিম-লিটনরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৫৯ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
সৌম্য-মিথুনের কাছে হারলো তামিম-লিটনরা ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

মিরপুর থেকে: বৃষ্টি আইনে আবাহনীকে ২১ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগের তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জ। তামিম ইকবালের আবাহনীকে হারাতে সৌম্য সরকার ও মোহাম্মদ মিথুন ব্যাট হাতে দারুণ খেলেছেন।

সোমবার (০৯ মে) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে আবাহনীর দেয়া ২৫৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নামে রুপগঞ্জ। ৪৬.৪ ওভারে ২৪৫ রান তুললে বৃষ্টি নামে। তাতে রুপগঞ্জের সামনে নতুন টার্গেট দাঁড়ায় ২২৫ রান। মাঠে বল পুনরায় না গড়ালে আর রুপগঞ্জ লক্ষ্যের চেয়ে এগিয়ে থাকায় ডাকওয়ার্থ লুইস মেথডে ২১ রানে জয়ী হয়।

রুপগঞ্জের হয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে ব্যক্তিগত ১৬ রানে শর্ট মিডঅফে সৌম্য যদি জীবন না পেতেন তাহলে হয়তো রুপগঞ্জের ভাগ্য অন্যরকম হতে পারতো। আবাহনীর বদলি খেলোয়াড় মারুফের ক্যাচ ড্রপের সুযোগেই সৌম্য এবারের প্রিমিয়ার লিগে প্রথম অর্ধ-শতকের দেখাতো পেলেনই, করলেন ৮৪ রান।

শুধু সৌম্যই কেন? মিথুনের ব্যাটও এদিন জ্বলে উঠেছিল। তার ৭৫ বলে ৭৫ রানের ইনিংসটিও ছিল লিজেন্ড অব রুপগঞ্জের জয়ের পথের অন্যতম সহায়ক।

এর আগে লিজেন্ড অব রুপগঞ্জের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বেশ ভালোই করেছিল তামিম ইকবালের আবাহনী। ব্যাট হাতে সতীর্থ লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে তাইজুল, রনিদের বল দৃঢ় হাতে মোকাবেলা করেছেন দুই ওপেনার তামিম ও লিটন দাস। তামিম ইকবাল ব্যাট হাতে প্রতিপক্ষের বোলারদের যেভাবে সামলেছেন, যথারীতি ততটাই ব্যর্থ ছিলেন লিটন দাস। গত চার ম্যাচের লো-স্কোরিংয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন এই ম্যাচেও।

১৪তম ওভারে মোশাররফ হোসেন রুবেলের তৃতীয় বলে দলীয় ৫৯ ও ব্যক্তিগত ১৯ রানে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন লিটন। আর একটি রান হলেই লিটন কাটাতে পারতেন এবারের প্রিমিয়ার লিগে ২০ রানের কোঠা না ছোঁয়ার অভিশাপ। কেননা প্রিমিয়ার লিগের এবারের আসরের গেল চার ম্যাচের প্রথমটিতে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে জাতীয় দলের টপঅর্ডারের এই ব্যাটসম্যানের সংগ্রহ ছিল ১২ রান। দ্বিতীয়টিতে শেখ জামাল ধানমন্ডির বিপক্ষে করেছেন ৫, তৃতীয় ম্যাচে ব্রাদার্সের বিপক্ষে ১৫ আর চতুর্থটিতে ভিক্টোরিয়ার বিপক্ষে খেলেছেন ১৩ রানের হতাশাব্যঞ্জক ইনিংস।

তবে, প্রিমিয়ার লিগে তামিম ইকবালে তৃতীয় অর্ধশতক (৫৪), নাজমুল হোসেন শান্ত’র দ্বিতীয় অর্ধশতক (৭২) ও মোসাদ্দেক হোসেনের অপরাজিত ৬৭ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২৫৪ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পায় খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা।

রুপগঞ্জের হয়ে বল হাতে মোশাররফ হোসেন রুবেল ১টি, তাইজুল ইসলাম ২টি এবং আবু হায়দার রনি নিয়েছেন  ৩টি উইকেট।

জবাবে, রুপগঞ্জের জয়ের জন্য ২৫৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে তুলনামূলক কঠিন কাজটিও অনেকটাই সহজ করে দেন আবাহনীর ফিল্ডাররা। তাদের একের পর এক মিস ফিল্ডিংয়ের সুযোগ শতভাগ কাজে লাগিয়ে জয়ের বন্দরে নোঙ্গর ফেলতে দৃঢ় হাতে ব্যাট করতে থাকেন সৌম্য, মিথুনরা।

দলীয় ১১ ও ব্যক্তিগত ৫ রানে ওপেনার জুনায়েদ সিদ্দিকী তাসকিনের বলে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়েন। দ্বিতীয় উইকেটে রুপগঞ্জের হাল ধরেন সৌম্য সরকার ও মিথুন। ২৭তম ওভারে মোসাদ্দেকের বলে লংঅনে অভিষেক মিত্রের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ৭৫ বলে ৭৫ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে প্যাভিলনে ফেরেন মিথুন।

মিথুনের ফিরে যাবার পর তৃতীয় উইকেটে রাতুলের সঙ্গে ৪২ রানের জুটি শেষে সাকলাইন সজিবের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ব্যক্তিগত ৮৪ রানের সংগ্রহ নিয়ে ড্রেসিং রুমে ফেরেন সৌম্য। এরপর, ব্যক্তিগত ১৯ রানে সাকলাইনের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন আসিফ আহমেদ রাতুল।

রাতুলের বিদায়ের পর চতুর্থ উইকেটে মোশররফ রুবেল ও নাহিদুলের ব্যাটেই জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে রুপগঞ্জ। কিন্তু ব্যক্তিগত ২৫ রানে নাহিদ ফিরে গেলে জয়ের প্রতীক্ষা বাড়ে রুপগঞ্জের। পঞ্চম উইকেটে রুবেলের সঙ্গে জুটি গড়তে আসেন আলাউদ্দিন বাবু। কিন্তু বিধি বাম! ম্যাচের ৪৬.৪ ওভারে বৃষ্টি হানা দিলে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে লিজেন্ডস অব রুপগঞ্জকে জয়ী ঘোষণা করেন ম্যাচ রেফারি। মোশাররফ রুবেল ২৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন।

আবাহনীর হয়ে বল হাতে সাকলাইন সজিব ২টি, তাসকিন আহমেদ, মোসাদ্দেক হোসেন ও নাজমুল হোসেন শান্ত নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৬ ঘণ্টা, ৯ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।