ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পূর্ণাঙ্গ কোচিং স্টাফ পাচ্ছেন জাহানারা-সালমারা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৩ ঘণ্টা, মে ৯, ২০১৬
পূর্ণাঙ্গ কোচিং স্টাফ পাচ্ছেন জাহানারা-সালমারা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের লঙ্কান কোচ জানাক চ্যাম্পিকা গামাগের সঙ্গে বিসিবির দুই বছরের চুক্তি শেষ হয়ে যাচ্ছে এ বছরের  আগস্টে। ২০১৪ সালের আগস্টে জাহানারা আলম-সালমা খাতুনদের হেড কোচের দায়িত্ব নেন তিনি।

দুই বছরের কাছাকাছি সময়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে বাংলাদেশকে তেমন সাফল্য এনে দিতে পারেননি এই লঙ্কান কোচ।  

 

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে টাইগ্রেসরা। এ কারণেই গামাগের সঙ্গে চুক্তি নবায়নের পক্ষে নন ওমেন্স উইয়ের চেয়ারম্যান এম এ আউয়াল চৌধুরী বুলু। বাংলানিউজকে তিনি জানান, ‘পারফরম্যান্সের ব্যাপারটাতো এসেই পরে। কিছুদিন পরই তার দুই বছরের মেয়াদ শেষ হবে। তার এ সময়ে বাংলাদেশ দল কতটা উজ্জ্বল ছিল তা আপনারাই ভালো জানেন। ’

গামাগে হয়তো নারী দলের হেড কোচ হয়ে থাকছেন না। তাহলে তার স্থলাভিষিক্ত কে হবেন? এ প্রশ্নের জবাবে আশার কথাই শোনালেন ওমেন্স উইয়ের চেয়ারম্যান, ‘সব ডিপার্টমেন্টে কোচ নিয়োগের কথা ভাবছি আমরা। মেয়েদের জন্য ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে আলাদা কোচ থাকবে। ’

কোচিং স্টাফ নির্বাচনে দেশি কোচদের প্রাধান্য থাকবে বলেও জানান তিনি, ‘মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, মিজানুর রহমান বাবুল, এহসানুল হক সেজান-এদের কথা ভাবছি। মেয়েদের বেলায় কোচদের ভাষাটাও গুরুত্বপূর্ণ। গামাগের আগেও একবার বিদেশি কোচ ছিলেন যার ভাষা ক্রিকেটাররা বুঝতে পারতো না। তখন খুব সমস্যা হয়েছিল। গামাগে যদিও ভালো বাংলা বলতে পারেন। ’

২০১১ সালের ২৪ নভেম্বর ওয়ানডে মর্যাদা পাওয়ার পর রীতিমতো উড়ছিল শুকতারা, জাহানারা, সালমারা। নারী ক্রিকেটকে নতুন দিনের স্বপ্ন দেখাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু বছর পাঁচেকের মধ্যেই সেই স্বপ্ন বিবর্ণ। ভারতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচেই হেরেছে বাংলাদেশ। টাইগ্রেসরা লড়াই জমিয়ে তুলতে পারেনি কোনো ম্যাচেই।
 
এমন পারফরম্যান্সের পেছনে এম এ আউয়াল চৌধুরী ক্রিকেটারদের যথাযথ নিবেদনের অভাবকেও দায়ী করলেন, ‘এখন যারা খেলছে তাদের বেশিরভাগ ক্রিকেটারই ৮-৯ বছর ধরে খেলছে। তাদের তো আরও উন্নতি করার কথা ছিল। বিশ্বকাপে যাওয়ার আগে প্র্যাকটিস সেশনও কম পায়নি। ’
 
ভালো পারফরম্যান্সের জন্য বেশি বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার কথাও বললেন ওমেন্স উইয়ের চেয়ারম্যান। এ বছরের জুন-জুলাইয়ে আয়ারল্যান্ড সফরে যেতে পারে বাংলাদেশ। এর আগে আয়ারল্যান্ড দল একবার বাংলাদেশ সফর করে। এ বছরেই সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশে আসবে দক্ষিণ আফ্রিকা দল।   এ দুটি সিরিজ দ্রুত নিশ্চিত করতে চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। সিরিজ দুটিতে ওয়ানডের সঙ্গে থাকবে টি-টোয়েন্টি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯২০ ঘণ্টা, ০৯ মে ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।