ঢাকা: গৃহকর্মী নির্যাতনের ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে এক মাস পালিয়ে ছিলেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীব। পালিয়েও নাকি ক্রিকেট খেলতেন এ পেসার! তখন কোথায় লুকিয়েছিলেন সেটি না জানালেও বাংলানিউজকে বললেন, যখন পালিয়ে ছিলাম তখনও ক্রিকেট খেলতাম।
মঙ্গলবার (১০ মে) শাহাদাতকে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ডিসিপ্লিন্যারি কমিটি। শাহাদাতের নামে মামলা হওয়ার পর বিসিবি সাময়িক নিষিদ্ধ করেছিল এ ক্রিকেটারকে। নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় চলমান প্রিমিয়ার লিগেই হয়তো তাকে দেখা যাবে কোনো দলের হয়ে নামতে।
তবে প্রশ্ন হলো, ম্যাচ খেলার মতো শতভাগ ফিট কিনা শাহাদাত? গত বছরের ০৫ মে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনে মিরপুরে বোলিং করতে গিয়ে উইকেটে পড়ে গিয়ে মারাত্মক ইনজুরিতে পড়েন শাহাদাত হোসেন। এরপর বিসিবির খরচে অস্ট্রেলিয়ায় তার অস্ত্রোপচার হয়। দেশে ফিরে তিন মাস পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সেটি শেষ করতে পারেননি।
১৩ বছর বয়সী কাজের মেয়ে মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের ঘটনায় পালিয়ে, জেল খেটে, কখনো জামিনে কাটান শাহাদাত হোসেন। এখনও জামিনেই বাইরে আছেন এ ক্রিকেটার। শাহাদাত আশাবাদী মামলাটির নিষ্পত্তি হয়ে যাবে।
বিসিবির নিষেধাজ্ঞা উঠার পর একাডেমির জিমনেসিয়ামে এইচপির ট্রেনার ব্রেট হার্পের কাছে ফিটনেস পরীক্ষা দিয়েছেন শাহাদাত। ৩০ মিনিট লম্বা টেস্টের ফলাফল ইতিবাচক হবে বলেই আশা করছেন শাহাদাত।
তিনি জানান, ‘পরীক্ষা দিলাম, আশা করছি ফল ইতিবাচকই আসবে। আমি কিন্তু জেলে থাকা অবস্থায়ও ফিটনেস ঠিক করার চেষ্টা করেছি। ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতাম। জামিনে বের হয়ে বাকি কাজগুলো করেছি। মোহামেডান-আবাহনীর নেটে বোলিং করেছি। ’
বড় এই দুই ক্লাবের কোনটিতে খেলবেন তা রহস্য হিসেবেই রেখে দিলেন শাহাদাত। তবে নিশ্চয়তা দিয়ে বললেন, ‘বড় দুটি ক্লাবের যে কোনোটিতেই হয়তো খেলব। যে কোনো ক্লাবে খেলতে পারলেই হলো। আমার দরকার ম্যাচ খেলা। আমার বাংলাদেশকে আরও ৫-৬ বছর সার্ভিস দেয়া উচিৎ। দেশকে আরও অনেক কিছু দেয়ার আছে। এখনো তো কিছুই দিতে পারিনি। ’
বাংলাদেশ জাতীয় দলে খেলতে হলে প্রিমিয়ার লিগে ভালো তো খেলতেই হবে, সঙ্গে মামলার নিষ্পত্তিও হতে হবে। চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তত তো শাহাদাত!
বাংলাদেশ সময়: ১৮১০ ঘণ্টা, ১০ মে ২০১৬
এসকে/এমআর