ঢাকা: ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) প্রেসিডেন্টের পদ সরে দাঁড়িয়ে পুরো ক্রিকেট বিশ্বকেই রীতিমতো চমকে দেন শশাঙ্ক মনোহর। তার শূন্যস্থান পূরণে বোর্ড সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুরই নাকি সবার চেয়ে এগিয়ে! বিসিসিআই’র এক সিনিয়র কর্মকর্তার বিশ্বাস, মনোহরের ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মেয়াদ পর্যন্ত অনুরাগ ঠাকুরের বোর্ড প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব নেওয়ার সম্ভাবনা জোরালো।
ভারতের ইস্ট জোন অ্যাসোসিয়েশনের এক সিনিয়র অফিসিয়াল মনে করেন, ‘বিসিসিআইকে পরিচালনার জন্য শক্ত কোনো প্রার্থী নেই। বোর্ডের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিসিসিআই সেক্রেটারি অনুরাগ ঠাকুর দু’সপ্তাহের মধ্যে একটি বিশেষ সভা আহবান করতে পারেন। যদি তার প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্ল্যান থাকে তবে তাকে সেক্রেটারির পদ ছাড়তে হবে। ’
এদিকে, আইপিএল চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লাও নাকি প্রেসিডেন্ট হতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী। সে যাই হোক, সরাসরি মনোনয়ন দেওয়া হলে অনুরাগ ঠাকুরই এগিয়ে থাকবেন বলে জানা যায়। তবে একাদিক প্রার্থীর উপস্থিতি থাকলে নির্বাচনের মাধ্যমেই হয়তো পরবর্তী বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের নাম চূড়ান্ত করা হবে।
মঙ্গলবার (১০ মে) বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়ান মনোহর। অনুরাগ ঠাকুরের কাছে তিনি পদত্যাগপত্র জমা দেন। পরে এক বিবৃতিতে বিসিসিআই সেক্রেটারি নিশ্চিত করেন, একই সঙ্গে ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংস্থা আইসিসিতে ও এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে বিসিসিআইয়ের প্রতিনিধি হিসেবেও পদত্যাগ করেছেন মনোহর।
ধারণা করা হচ্ছে, লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী বোর্ড পুনর্গঠন নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন ওঠার কারণে এমন সিদ্ধান্ত নেন মনোহর। এছাড়া বিসিসিআইয়ের সভাপতি থাকা অবস্থায় তিনি আইসিসির চেয়ারম্যান হতে পারেন কি না, সেই প্রশ্নও উঠেছিল।
আইসিসিতে প্রস্তাবিত নতুন নিয়ম অনুযায়ী, কেউ আইসিসির চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকতে পারবেন না। আইসিসির প্রথম স্বাধীন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে ২৩ মে। সেই পদে প্রার্থী হতেই হয়তো পদত্যাগের সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন মনোহর!
বাংলাদেশ সময়: ১২১৩ ঘণ্টা, মে ১১, ২০১৬
এমআরএম