ঢাকা: কিয়েরন পোলার্ডের ১৯ বলে ৩৫ ও জস বাটলারের ১১ বলে ২৯ রানের ঝোড়ো ইনিংসের কাছে হার মানলো বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
রোমাঞ্চকর ম্যাচে শেষ অবধি ৮ বল ৬ উইকেট হাতে রেখে সহজ জয় পায় মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
অথচ এর আগে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে ১৫১ রান করে জয়ের দারুণ সম্ভাবনা জাগিয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
শেষ চার ওভারে মুম্বাইয়ের প্রয়োজন ৪৪ রান, হাতে ৬ উইকেট।
এ জয়ের ফলে পয়েন্ট টেবিলের শেষ চারে উঠে এলো রোহিত শর্মার দল। ১০ ম্যাচে ৬ হারে টেবিলের ষষ্ঠ স্থানেই থাকলো রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু।
১৫২ রানের জয়ের লক্ষে খেলতে নেমে বিপাকেই পড়ে মুম্বাই। শুরু থেকেই আস্কিং রান রেট বেড়ে চলছিল দলটির। ১০০ রান পূর্ন হতেই চলে যায় ১৫.৩ ওভার। শেষ ৪ ওভার প্রয়োজন পড়ে ৪৪ রানের। ১৭ তম ওভারে পোলার্ড-বাটলার মিলে ১৮ রান তুললে সমীকরণ অনেকটা সহজ হয়। মাত্র ২১ বলে ৫৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে মুম্বাইকে রোমাঞ্চকর জয় উপহার দেন পোলার্ড ও বাটলার।
মুম্বাইয়ের জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রাখেন আমবাতি রাউডু। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ রান। ওপেনার রোহিত শর্মা করেন ২৫ রান।
ব্যাঙ্গালুরুর বরুণ অ্যারন নেন দুটি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন চাহাল ও অরভিন্দ।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে লোকেশ রাহুলের অর্ধশতকে ২০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫১ রানের চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ দাঁড় করায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরু। যদিও শুরুটা তাদের মোটেও ভালো ছিলো না। ১৭ রান তুলতেই বিরাট কোহলি ও ক্রিস গেইলের উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে তারা। ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারানো গেইল এদিনও নিজেকে খুঁজে পাননি। টিম সাউথির বলে আউট হয়েছেন মাত্র ৫ রান করে। কোহলি করেন ৭ রান।
দুই ওপেনারের বিদায়ের পর ইনিংসের হাল ধরেন ডি ভিলিয়ার্স ও লোকেশ রাহুল। এ জুটি ৪৩ রান যোগ করলে বিপর্যয় সামলে ওঠে ব্যাঙ্গালুরু। হার্ডিক পান্ডিয়ার বলে রাইডুর হাতে ডি ভিলিয়ার্স ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙ্গে তৃতীয় উইকেট জুটি। লোকেশ রাহুল অবশ্য ব্যাট চালিয়ে যান। ৫৩ বলে ৬৮ রান করে অপরাজিত থাকেন এ ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ইনিংসটি সাজান ৩টি চার ও ৪টি ছক্কায়।
শেন ওয়াটসন করেন ১৫ রান। দুর্ভাগ্যজনক রান আউটের শিকার হন এ ব্যাটসম্যান। শেষ দিকে শচিন বেবির ১৩ বলে ২৫ রানের ঝোড়ো ইনিংসে দেড়’শ পেরোয় ব্যাঙ্গালুরু।
টিম সাউদি, মিশেল ম্যাকক্লেঘান ও হার্ডিক পান্ডিয়া নেন একটি করে উইকেট।
বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, মে ১২, ২০১৬
এসকে/এসআর