মিরপুর থেকে: আবাহনী এবারের ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লিগে ম্যাচ খেলেছে ছয়টি। এর মধ্যে তিনটি ম্যাচে জয়ের বিপরীতে হেরেছে বাকি তিনটি ম্যাচ।
কিন্তু হেরে যাওয়া তিন ম্যাচের মধ্যে দলটির জন্য সব চেয়ে কষ্টের হারটি সম্ভবত চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী মোহামেডানের বিপক্ষে বৃহস্পতিবার (১২ মে) মিরপুরের হারটি।
দলের পরাজয়ের জন্য তামিম ইকবাল দায়ী করলেন সতীর্থদের বাজে পারফরমেন্সকে। তার মতে সেরা পারফরমেন্স থেকে এখনও আবাহনী অনেক পিছিয়ে।
ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি একরকম আক্ষেপ করেই জানান, ‘আমার হিসেবে পুরো টুর্নামেন্টে ভালো খেলা দলটিই চ্যাম্পিয়ন হবে। কিন্তু আমরা আগেই তিনটা ম্যাচ হেরে গেছি। টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলো জিততেই হবে। তবে, আমরা আমাদের সেরা খেলাটি থেকে এখনও অনেক দূরে। ’
তামিম ইকবালের এমন আক্ষেপের কারণও আছে। এবারের প্রিমিয়ার লিগে ব্যাট বা বল হাতে ধারাবাহিকভাবে জ্বলে উঠতে পারছেন দলের কিছু সদস্য। প্রয়োজনের সময় ব্যাট-বলে হাল ধরার কেউ নেই বললেই চলে। আর এই স্বল্প সংখ্যক সতীর্থদের পারফরমেন্সে দল জয়ের মুখ দেখবে বলে তামিমও বিশ্বাস করেন না, ‘এভাবে খেলতে থাকলে বিশ্বের সেরা দল নিয়ে এলেও জিতবো না। ’
এদিকে মোহামেডানের বিপক্ষে এই ম্যাচে দলীয় ১৫ রানেই ফিরে যান আবাহনীর তিন টপঅর্ডার। তাদের মধ্যে ছিলেন তামিমও। কিন্তু তামিমতো তিন ম্যাচে অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছেন। দলটিতে তামিম ছাড়া একমাত্র নাজমুল হোসেন শান্তই বিপদে হাল ধরেছেন। তাই বেশ বিরক্তি নিয়েই বললেন, ‘ক্রিকেট একটি দলের খেলা, এখানে সবাইকে ভালো খেলতে হবে। আমার উপর নির্ভর করলে হবে না। ’
তামিম মোহামেডানের বিপক্ষে হারের কারণ হিসেবে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন নিজেদের প্রথম তিন ব্যাটসম্যানের দলীয় ১৫ রানে ফিরে যাওয়াকে। তিনি যোগ করেন, ‘১৫ রানে ৩ উইকেট হারানোর কারণে আমরা আগেই হেরে গেছি। ২৪০ বা ২৫০ হলে কিছু একটা হতো। ’
আবাহনীর হয়ে এদিন ব্যাট হাতে ভালো করেছেন দলটির দুই টেলএন্ডার আবুল হাসান রাজু ও তাসকিন আহমেদ। অষ্টম উইকেটে তাদের ৫১ রানের জুটিতে সবক’টি উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রানের সংগ্রহ পায় আবাহনী। তাসকিন অপরাজিত ছিলেন ৩৮ রানে আর রাজু আউট হয়েছেন ২৮ রানের ইনিংস খেলে। তাই এই দুই সতীর্থকে ধন্যবাদ জানাতে ভুললেন না এই আবাহনী দলপতি ‘থ্যাংকস আবুল অ্যান্ড তাসকিন। ’
তবে টানা দুই ম্যাচ হেরে গেলেও সামনের ম্যাচগুলোতে জিততে চাইছেন এই আবাহনীর হার্ড হিটার।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ১২ মে ২০১৬
এইচএল/এমআর