ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার পর থেকে শুরু হয়ে মুস্তাফিজ সংক্রান্ত আলোচনা এখনও ভেসে বেড়াচ্ছে বিশ্ব ক্রিকেটের আকাশে-বাতাসে। আইপিএলে হায়দ্রাবাদের হয়ে খেলা এই টাইগার পেসার প্রতিপক্ষের জন্য আতঙ্কের নাম হয়ে উঠেছেন।
মুস্তাফিজ কেবল বাংলাদেশের জন্য নয়, পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের এক অনন্য প্রতিভা।
ভারতের জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’তে উঠে এসেছে মুস্তাফিজের বোলিং বৈচিত্র্য সমস্যায় ফেলছেন ম্যাচের দায়িত্বে থাকা ফিল্ড আম্পায়ারদের। কিছু ম্যাচ অফিসিয়াল জানিয়েছেন, বাংলাদেশি এই পেসারের ‘কাটার’ গুলো পিচ করে অফস্ট্যাম্পের দিকে ধেয়ে যাবে নাকি লেগস্ট্যাম্পের দিকে যাবে সেটি মাঠে থেকে বুঝতে বেশ সমস্যায় পড়তে হয়। ফলে, সিদ্ধান্ত নিতেও সমস্যার সম্মুখিন হতে হচ্ছে।
একজন ম্যাচ অফিসিয়াল সংবাদমাধ্যমটিকে জানিয়েছেন, ‘মুস্তাফিজের যেসব বল মিডল এবং লেগস্ট্যাম্পের মাঝে থাকে সেই বলগুলোকে বোঝা খুবই কষ্টকর। পরিস্কার করে বোঝা যায় না তার বলটা লেগস্ট্যাম্পে লাগবে, নাকি বের হয়ে যাবে। মুস্তাফিজ বলের অনেক রকম ভেরিয়েশন দেখাতে পারে। তার কাটারগুলো বোঝা মুশকিল। সে সাধারণভাবেই লেগস্ট্যাম্প এবং অফস্ট্যাম্পের বাইরে বল করে থাকে। বাংলাদেশি এই পেসার মিডলস্ট্যাম্পের বোলার নয়। ’
টাইমস অব ইন্ডিয়ার এই সংবাদের শেষ প্যারায় বাংলাদেশের ওপেনার এনামুল হক বিজয়ের কথাও লেখা হয়েছে। বিজয় সংবাদমাধ্যমটিকে জানান, ‘মুস্তাফিজের সঙ্গে গত দুই বছর থেকে খেলেছি। তাকে নেটেও মোকাবেলা করেছি। কিন্তু, তার বলগুলো বুঝে উঠা সত্যিই কষ্টকর। ’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দু’দুবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি বলেছিলেন, এই মুস্তাফিজুর রহমান পুরো ক্রিকেটের জন্যই দারুণ এক আবিষ্কার। বাংলাদেশ তাকে পেয়েছে। মুস্তাফিজুর ক্রিকেট বিশ্বের একটা আবিষ্কার। আমি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছি। তার সাধারণ বল আর কাটার বলের মধ্যে কোনো পার্থক্য বের করা কষ্টকর।
মুস্তাফিজের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ভক্তদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের ক্রিকেটাররাও প্রশংসায় মুখরিত হচ্ছেন। সম্প্রতি তার বোলিং নিয়ে হিন্দুস্তান টাইমস-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক স্পিনার মানিন্দার সিং জানান, ‘মুস্তাফিজের দিকে তাকিয়ে দেখুন, দেখবেন তার পেস বৈচিত্র্য। তার স্লোয়ার গুলো সত্যিই দেখার মতো। বাংলাদেশি এই পেসারের স্লোয়ার ব্যাটসম্যানদের জন্য বোঝা কষ্টকরই বটে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৫০৩ ঘণ্টা, ১৩ মে ২০১৬
এমআর