ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মুস্তাফিজকে লুকিয়ে রাখতে মানা করছেন সালাউদ্দিন

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৪১ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০১৬
মুস্তাফিজকে লুকিয়ে রাখতে মানা করছেন সালাউদ্দিন ছবি: জি এম মুজিবুর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর

ঢাকা: ক্রিকেট বিশ্বে এক বিস্ময়ের নাম মুস্তাফিজুর রহমান। কেবল বাংলাদেশ নয়, বিশ্ব ক্রিকেটেরই সম্পদে পরিণত হয়েছেন ২০ বছর বয়সী এ পেসার।

কখনো অফ কাটার, কখনো লেগ কাটার, কখনো স্লোয়ার, প্রয়োজনে আবার ১৪০ কিমি গতিতে ইয়র্কারও দিচ্ছেন। ব্যাটসম্যানের সঙ্গে আম্পায়াররাও দ্বিধান্বিত হয়ে পড়ছেন মুস্তাফিজের বোলিং ভ্যারিয়েশনে!

 

আইপিএলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদে নাম লেখানোর পরই সাসেক্সের হয়ে কাউন্টিতে খেলার ডাক আসে বিশ্বের ‘মোস্ট ওয়ানটেড’ এ পেসারের। অস্ট্রেলিয়ার ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি বিগ ব্যাশ লিগের (বিবিএল) দলগুলোও মুস্তাফিজকে দলে নিতে চাইছে বলে খবর সে দেশের গণমাধ্যমের।

মুস্তাফিজ অংশ নিয়ে সেই আসরগুলোকে অলংকৃত করবেন কিনা-এ নিয়ে বিতর্ক চাউর হয়েছে ক্রিকেটপাড়ায়। এত বেশি ক্রিকেট খেলা মুস্তাফিজের ঠিক হবে না-এমন কথা অবশ্য উঠছে তার আগের ইনজুরির কারনেই।

আইপিএলের আগে পাকিস্তান সুপার লিগেও (পিএসএল) দল পেয়েছিলেন মুস্তাফিজ। ইনজুরির কারণে পিএসএলে খেলা হয়নি তার। একই কারণে চারদিকে শোনা যাচ্ছে, মুস্তাফিজের কাউন্টি মৌসুম ত্যাগ করাই ভালো, এমনকি বিবিএলও। এই কথার সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক সহকারী কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি মনে করেন, বিদেশি লিগ খেলতে বিস্ময় বালক মুস্তাফিজকে থামানো ঠিক হবে না।  

একান্ত সাক্ষাতকারে বাংলানিউজকে সালাউদ্দিন বলেন, বেশি বেশি ম্যাচ খেলা মুস্তাফিজের জন্য খারাপ নয় বরং ভালোই হবে। বেশি ম্যাচ আর কি এমন খেলছে মুস্তাফিজ! টি-টোয়েন্টিই তো খেলছে। সে তো আর বেশি টেস্ট খেলছে না যে ক্লান্ত হয়ে পড়বে। ঢাকা লিগও সেরকম ভাবে খেলে না। তাকে লুকিয়ে রাখার কিছু নেই। আপনি ঘরে বসে থাকলেও ইনজুরি হতে পারে।

মুস্তাফিজ তার বোলিং আগ্রাসন ও কারিশমা দিয়ে আলো ছড়াচ্ছেন আইপিএলের মতো বড় আসরেও। মুস্তাফিজের এ বোলিং আগ্রাসনকে না থামানোর পেছনে  সালাউদ্দিনের আরেকটি যুক্তি, ‘একজন ক্রিকেটার যখন ভালো ফর্মে থাকে তখন তার কাছ থেকে যতটা সম্ভব পারফরম্যান্স বের করে নেয়া উচিত। একজন ক্রিকেটার অফ-ফর্মে পড়তেই পারে। মুস্তাফিজের সেরা সময়টা ব্যবহার করা উচিত। আর ইনজুরির ব্যাপারটা নির্ভর করে খেলোয়াড়ের উপর। কেউ যদি চায় সে নিজেকে ফিট রাখবে সেটা সম্ভব। পেস বোলার ইনজুরিতে পড়তেই পারে। লুকিয়ে থাকলে যে ইনজুরি হবে না তার কোনো গ্যারান্টি নেই। ’

কোচ সালাউদ্দিনও মুস্তাফিজকে এশ্বরিক প্রতিভাই মনে করেন। মুস্তাফিজ যতই খেলুক তার বৈচিত্র্য ধরে ফেলা কিংবা সহজে মোকাবেলা করা ব্যাটসম্যানের পক্ষে সম্ভব হবে না বলে মনে করেন দেশসেরা এই কোচ, ‘তার বোলিংয়ে এতই বৈচিত্র্য যে,  সেটি বোঝা ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব কঠিন। বাঁহাতি বলে একটা অ্যাডভানটেজ তো আছেই। কাটার অনেক বাঁহাতি বোলারই করে। কিন্তু মুস্তাফিজের হ্যান্ডসস্পিড এত ফাস্ট- এ জন্য বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই তাকে ঠিকমতো ধরতে পারছে না। এটা আসলেই অনেক কঠিন। সে একই গ্রিপে অনেক ভ্যারিয়েশেন করতে পারে। হ্যান্ড স্পিড থেকে রিস্ট, অনেক দ্রুততার সঙ্গে করে। এটা একেবারেই জন্মগত প্রতিভা। আমার মনে হয় না এটা তাকে কেউ শিখিয়ে দিয়েছে। এরকম প্রতিভা আসলে বিরল। ’

বাংলাদেশ সময়: ২০৩৬ ঘণ্টা, ১৩ মে ২০১৬
এসকে/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।