ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

অথচ হাল ছেড়েই দিয়েছিল ব্রাদার্স!

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মে ১৮, ২০১৬
অথচ হাল ছেড়েই দিয়েছিল ব্রাদার্স! ছবি:বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বিকেএসপি, সাভার থেকে: ক্রিকেটে কিনা হয়! নাটকীয়তা, অনিশ্চয়তা সবই থাকে। এ জন্য গৌরবময় অনিশ্চয়তার খেলা বলা হয় ক্রিকেটকে।

ক্রিকেট যে কতটা অনিশ্চিত সেটাই যেন আরেকবার প্রমান হলো বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে।

ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রকে নাটকীয়ভাবে ৯ রানে হারিয়ে রোমাঞ্চকর এক ম্যাচ ‍উপহার দিল ব্রাদার্স। জয়ের অনেক কাছে থেকেও ১৫ রানে শেষের সাত উইকেট হারিয়ে আফসোসে পুড়লো মাশরাফি-মাসাকাদজরা।

এ ম্যাচে ব্রাদার্স জয় পেতে পারে এমনটা ভুলেও ভাবেনি কেউ। এমনকি ব্রাদার্সের অধিনায়ক তুষার ইমরানও হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তখন কে জানতো শেষ ১৫ রানে ৭ ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে ফিরিয়ে দেবে বোলাররা! তুষার ইমরানের ভাষায়, ‘৪৫ ওভার শেষে ওদের প্রয়োজন ছিল ২৫ রান, হাতে ৬ উইকেট। ক্রিজে সেঞ্চুরিয়ান মাসাকাদজা। আমাদের জেতার কোনো সুযোগ ছিলো না। হাল ছেড়ে দিয়েছিলাম। ’
 
ব্রাদার্স ইউনিয়নের দেয়া ২৬৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা হ্যামিল্টন মাসাকাদজার ব্যাটিং দেখে খুব ছোটই মনে হচ্ছিলো। ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ১০৫ বলে ১১১ রান করে মাসাকাদজা রান আউট হয় সাজঘরে ফেরার পর মুড়ির মতো উইকেট পড়তে থাকে কলাবাগানের। শেষ ১৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে জয়বঞ্চিত হয় কলাবাগান ক্রীড়া চক্র। ৪৯.২ ওভারে ২৫৩ রানে অলআউট হলে ৯ রানের হার সঙ্গী হয় মাশরাফির দলের।

ম্যাচে মাসাকাদজার আউটকে স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মানছেন তুষার ইমরান,  ‘ওর রান আউটটাই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছে। এরপরই আমরা পুরোপুরি ম্যাচে ফিরেছি। এটা সবচেয়ে নাটকীয় ম্যাচের একটি। ’
 
শেষের দিকে তাড়াহুড়ো করাতেই কলাবাগানকে হারতে হয়েছে বলে মনে করেন তুষার, ‘ওদের জন্য সহজ লক্ষ্য ছিল। আমার মনে হয়, ওদেরও জেতার লক্ষ্য ছিল। ওরা সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে তাড়াহুড়া করেছে। ’  
 
যদিও শেষ ওভার অব্দি জয়ের আশা টিকিয়ে রেখেছিল মাশরাফির দল। শেষ ৬ বলে দরকার ১০ রান, হাতে দুই উইকেট। অথচ আর রানই যোগ করতে পারলেন না দেওয়ান সাব্বির ও আব্দুর রাজ্জাক। ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে সাদিকুর রহমানের প্রথম দু’ বলেই সীমানায় ক্যাচ তুলে দিলেন এ দুই ব্যাটসম্যান।

শেষ ওভারে ব্রাদার্সের বোলিং আক্রমণের সেরা অস্ত্র আসিফ হাসানকে আক্রমণে না এনে সাদিকুরের হাতে বল তুলে দেন তুষার। এ ব্যাপারে তুষার ইমরানের ব্যাখ্যা, ‘সে সময় ক্রিজে ওদের একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (আব্দুর রাজ্জাক) ছিল। বাঁহাতি বোলারকে বল দিলে সে (ছক্কা) মেরে দিতে পারতো। তাই আসিফকে না দিয়ে তাজিনকে (সাদিকুর) বোলিংয়ে আনিনি। ’  
 
অবিশ্বাস্য জয়ে ব্রাদার্সের উদযাপনে বিবর্ন কলাবাগানের জিম্বাবুইয়ান রিক্রুট হ্যামিল্টন মাসাকাদজার অসাধারণ সেঞ্চুরিটি। ১০৫ বলে ৯টি চার ও একটি ছক্কায় ১১১ রান করে আউট হন মাসাকাদজা। লিগে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। লিগের সর্বোচ্চ স্কোরার হয়েও শেষটা সুখকর হলো না। দলের পরাজয় দেখেই জিম্বাবুয়ের পথে ফিরতে হচ্ছে তাকে। জিম্বাবুয়ের ক্রিকেট বোর্ডের ডাকে আজ রাতেই দেশের পথে উড়াল দেবার কথা মাসাকাদজার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, ১৮ মে, ২০১৬
এসকে/এমএমএস

**শেষের ভুলে ব্রাদার্সের কাছে কলাবাগানের নাটকীয় হার

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।