ঢাকা: ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) নবম আসরে রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ৮ রানে হারিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের জমজমাট ঘরোয়া এই টুর্নামেন্টের নতুন চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাইগার পেসার মুস্তাফিজের সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। ৫৬টি গ্রুপপর্বের ম্যাচ, দুটি কোয়ালিফায়ার আর একটি ইলিমিনেটর ম্যাচের পর এবারের আসরের ফাইনালটি মাঠে গড়ায়।
এর আগে দুইবার করে শিরোপা জেতে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, কলকাতা নাইট রাইডার্স ও চেন্নাই সুপার কিংস। একবার করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রাজস্থান রয়েলস ও ডেকান চার্জাস। রানার্সআপ হওয়ার ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ চারবার ফাইনালের মঞ্চে খেলেছিল চেন্নাই। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু দুইবার ফাইনালে খেলেছে। একবার করে ফাইনালের মঞ্চে উঠেছিল কিংস ইলিভেন পাঞ্জাব ও মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।
২০০৮ সালের প্রথম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় রাজস্থান। ২০০৯ আসরে ডেকান শিরোপা জেতে। ২০১০ ও ২০১১ তে টানা দুইবার চ্যাম্পিয়ন হয় চেন্নাই। ২০১২তে প্রথমবার শিরোপা ঘরে তোলে কলকাতা। পরের আসরে মুম্বাই চ্যাম্পিয়ন হয়। ২০১৪তে আবারো সাকিব আল হাসানের কলকাতা চ্যাম্পিয়ন হয়। গত আসরে (২০১৫) দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা জেতে মুম্বাই।
এবারের আসরে গ্রুপপর্বের ১৪ ম্যাচে বেঙ্গালুরু ৮টি জয় এবং ৬টি পরাজয় নিয়ে আর টেবিলের দুই নম্বরে থেকে ১৬ পয়েন্ট অর্জন করে প্লে-অফ নিশ্চিত করেছিল। কোয়ালিফায়ার-ওয়ানে সুরেশ রায়নার গুজরাট লায়ন্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে বিরাট কোহলি, শেন ওয়াটসন, এবিডি ভিলিয়ার্স, ক্রিস গেইলদের নিয়ে সাজানো বেঙ্গালুরু।
অপরদিকে, গ্রুপপর্বে ১৪ ম্যাচের ৮টি তে জয় আর ৬টিতে পরাজয় বরণ করে হায়দ্রাবাদ। ১৬ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে থেকে প্লে-অফে উঠে ডেভিড ওয়ার্নারের দলটি। ইলিমিনেটর রাউন্ডে সাকিব আল হাসানের কলকাতাকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করে মুস্তাফিজের দলটি। আর দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে সুরেশ রায়নার গুজরাটকে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে উঠে হায়দ্রাবাদ।
ফাইনালের লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে হায়দ্রাবাদ ৭ উইকেট হারিয়ে ২০৮ রান সংগ্রহ করে। জবাবে, ৭ উইকেট হারানো বেঙ্গালুরুর ইনিংস থামে ঠিক ২০০ রানের মাথায়। ফলে, ৮ রানের জয় নিয়ে শিরোপার উল্লাসে মাতে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নের স্বাদ নেওয়া হায়দ্রাবাদ।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪৮ ঘণ্টা, ৩০ মে ২০১৬
এমআর