ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

পাওনা আদায়ে বিসিবির দ্বারস্থ ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৬
পাওনা আদায়ে বিসিবির দ্বারস্থ ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: প্রিমিয়ার লিগের প্রাপ্য পারিশ্রমিক না পাওয়ায় ভিক্টোরিয়ার পর এবার বিসিবির দ্বারস্থ হয়েছেন ব্রাদার্সের ক্রিকেটাররা। মঙ্গলবার  (০২ আগস্ট) দুপুরে শাহরিয়ার নাফীস, নাফিস ইকবাল, সঞ্জিত সাহা, নাবিল সামাদসহ দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার একত্রিত হয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

তিনি নাকি আশ্বাস দিয়েছেন বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কথা বলে সপ্তাহখানেকের মধ্যে ব্যবস্থা নেবে বিসিবি।

গত ২২ জুন শেষ হয়েছে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ২০১৫-১৬ মৌসুম।  ব্রাদার্স সুপার লিগে উঠতে না পারায় তাদের লিগ শেষ হয় ৯ জুন। নিয়ম অনুযায়ী লিগের শুরুতে চুক্তির ৩০ শতাংশ। সুপার লিগের শুরুতে ৩০ শতাংশ আর লিগ শেষ হওয়ার ৬ সপ্তাহের মধ্যে বাকি ৪০ শতাংশ বুঝে পাবেন ক্রিকেটাররা। অথচ ব্রাদার্স কর্মকর্তারা এখনও দ্বিতীয় ধাপের টাকাই পরিশোধ করেনি। ফলে খেলোয়াড়দের কাছে ক্লাবের বকেয়া মোট অর্থের ৭০ শতাংশ।  

লিগ শেষে ৬ সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও বকেয়া বুঝে না পাওয়ায় হতাশাই ঝরলো ব্রাদার্সের ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীসের কন্ঠে, ‘ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে কোনো কথাই পাওয়া যাচ্ছে না। রোজার ঈদের আগে একটা আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্ত এর পর তারা পাওনার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস বা আলোচনা করেনি।  আমরা মাত্র ৩০ শতাংশ পেয়েছি। এই সময়ের মধ্যে শতভাগ পেয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এখন পর্যন্ত দ্বিতীয় ধাপের টাকাই আমরা পাইনি। তৃতীয় ধাপের তো প্রশ্নই আসে না। ’

‘আমরা প্লেয়াররা সবাই একত্রিত হয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহীকে জানালাম। তারা কিন্তু আমাদের কমিটমেন্ট করেছিল কোনো কারণে যদি পেমেন্ট ঠিকমতো না হয় তাহলে বিসিবি দেবে। ঈদের আগে দুটি ক্লাবের পেমেন্ট বিসিবি করে দিয়েছে। ৭০ ভাগ বাকি আছে। শতভাগ দেয়ার ডেডলাইন শেষ। আমরা বলেছি পাওনার ব্যাপারটা যাতে গুরুত্ব সহকারে দেখা হয়’-যোগ করেন নাফীস।  

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে প্রিমিয়ার লিগই ক্রিকেটারদের রুটি-রুজির মূল উৎস। জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের বাইরে যারা আছেন তারা লিগে পাওয়া অর্থ দিয়েই চলেন সারা বছর।

ক্রিকেটারদের কাছে প্রিমিয়ার লিগের টাকার গুরুত্ব বোঝাতে গিয়ে শাহরিয়ার নাফীস বলেন, ‘২০১৪ সালের আগস্টে প্রিমিয়ার লিগ হয়েছিল। এর পর প্রায় দুই বছর পর প্রিমিয়ার লিগ হলো। আমাদের ৯০ শতাংশ ক্রিকেটারের মূল আয়ের উৎস এটি। এমন হলে ক্রিকেট খেলাটাই কষ্ট হয়ে যাবে। বোর্ড সভাপতি  জোর দিয়েই বলেছিলেন পেমেন্ট নিয়ে যদি কেউ গড়িমসি করে তাহলে বিসিবি দেবে। এই কারণে আমরা আশায় বুক বেধেছি। ’

বকেয়া পাওনার দাবিতে এর আগে বিসিবিতে অভিযোগ জানিয়েছিলেন ভিক্টোরিয়ার ক্রিকেটাররা। তাদেরও আশ্বাস দিয়ে রেখেছে বিসিবি। ঈদের আগে ক্রিকেট কোচিং স্কুল (সিসিএস) ও কলাবাগান ক্রিকেট একাডেমির বকেয়া পাওনা ক্রিকেট বোর্ডই পরিশোধ করে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪২ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৬
এসকে/এমআরএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।