ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘টিকে থাকতে হলে আমাকে সেরাটাই দিতে হবে’

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০১৬
‘টিকে থাকতে হলে আমাকে সেরাটাই দিতে হবে’ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর (ফাইল ফটো)

ঢাকা: দুই পেসার নিয়ে খেলার ফরমেশন থেকে অনেক ‍আগেই বের হয়ে এসেছে বাংলাদেশ দল। পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা দ্বিতীয়বার ওয়ানডে অধিনায়ক হয়ে ফেরার পর প্রয়োজনে চার পেসার নিয়েও মাঠে নেমেছে টাইগাররা।

আন্তর্জাতিক ম্যাচে অন্তত তিন পেসার নিয়ে মাঠে নামা তো এখন ‘কমন’ ব্যাপারই।    

এতে করে জাতীয় দলে পেসারদের সুযোগ যেমন বেড়েছে তেমনি বেড়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও। সেরাটা দিয়ে কে দলে টিকে থাকবেন-এমন প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবে এ ব্যাপারটিকে নেতিবাচক না ভেবে ইতিবাচক চ্যালেঞ্জ হিসেবে ভাবতে চান জাতীয় দলের পেসার আল-আমিন হোসেন, ‘আমি এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখি না। কারণ যে যখন সুযোগ পাবে সে তখন তার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে। আমি যখন সুযোগ পাচ্ছি তখন সেরাটাই দিচ্ছি। মোস্তাফিজ, তাসকিন, রুবেল বা মাশরাফি ভাই যেই খেলছে সে তার সেরাটাই দিচ্ছে। টিকে থাকতে হলে আমাকে সেরাটাই দিতে হবে। আমার কাছে মনে হয় আমরা যারা পেস বোলার আছি তাদের জন্য এটা পজিটিভ চ্যালেঞ্জ। ’

ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে আল-আমিন হোসেন জাতীয় দলে নিজের অবস্থান পাকা করে ফেললেও টেস্টে সেভাবে বিবেচিত নন। অথচ মিরপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট দিয়েই আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে আল-আমিনের। তিন বছরের ক্যারিয়ারে আল আমিন টেস্ট খেলেছেন মাত্র ৬টি। পারফরম্যান্সও ততটা উজ্জ্বল নয়। ৬ ম্যাচে ঝুলিতে উইকেট মাত্র ৬টি। ২০১৪ সালের অক্টোবরে মিরপুরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে খেলেছেন সবশেষ টেস্ট।

তাইতো টেস্ট দলে ফেরার তাগিদ অনুভব করছেন আল-আমিন। এজন্য ফিটনেসে আরও কাজ করা ও লাল বলে অনুশীলন বাড়ানোর ইচ্ছার কথা জানালেন এ পেসার, ‘আমি শেষ টেস্ট খেলেছিলাম মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তাদের সঙ্গে আরও টেস্ট ছিল, কিন্তু ওই সময় আমার অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল। সে কারণেই ওই সময় ছুটি নিয়ে পরীক্ষা দিয়েছি। এরপর বাংলাদেশ অনেকগুলো টেস্ট খেলেছে তবে আমি খেলতে পারিনি। তবে চেষ্টা করছি ফিটনেস বাড়িয়ে, লাল বলে আরও অনুশীলন করে যেভাবে সাদা বলে বাংলাদেশ দলকে সাফল্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি সেভাবে চেষ্টা করবো। ’

বাংলাদেশ আরও বেশি টেস্ট ম্যাচ পেলে পেসারদের দায়িত্ব ও পারফর্ম করার তাড়না বাড়বে বলে মনে করেন আল-আমিন, ‘আসলে আমাদের টেস্ট অনেক কম হয়। বছরে তিন-চারটা বা পাঁচটা টেস্ট হয়। তবে যদি কিছু টেস্ট বাড়ে তাহলে আমরা যারা পেস বোলার আছি, তাদের দায়িত্ব আরেকটু বেড়ে যাবে। তখন নিজেদের পারফর্ম করার জন্য পজিটিভ চ্যালেঞ্জ বেড়ে যাবে। সাদা বলে যেভাবে পারফর্ম করছি লাল বলেও সেভাবে করতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৬ ঘণ্টা, ০২ আগস্ট ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।