ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত শফিউল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪১ ঘণ্টা, আগস্ট ৩, ২০১৬
চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত শফিউল ছবি:সংগৃহীত

ঢাকা: পেস আক্রমণে বাংলাদেশ ক্রিকেট এখন আর আগের অবস্থায় নেই। দুই বছর আগেও যেখানে দুই বা সর্বোচ্চ তিন পেসার নিয়ে নামা হতো সেখানে এখন নুন্যতম তিনজন, কোনো কোনো ম্যাচে আবার চার পেস আক্রমণও চোখে পড়ে।


 
এশিয়া কাপে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটির কথাই ধরা যাক। যেখানে বল হাতে নেমেছিলেন তাসকিন, আল-আমিন, মোস্তাফিজুর রহমান ও মাশরাফি বিন মর্তুজা। শুধু ভারতই কেন? শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও মাশরাফির পেস বোলিং আক্রমণে ছিলেন এই চার জন।
 
ফলে বাংদলাদেশ ক্রিকেটে বোলিংয়ের এই বিভাগটি এখন একদিকে যেমন আগের চাইতে গুরুত্বপূর্ণ হয়েছে তেমনি হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণও। সঙ্গত কারণেই দলে জায়গা পাওয়া এখন অনেকটাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হোম সিরিজকে সামনে রেখে  ৩০ সদস্যের প্রথামিক বাংলাদেশ দলে আছেন  মাশরাফি বিন মর্তূজা, কামরুল ইসলাম রাব্বি, মুক্তার আলী, মোস্তাফিজুর রহমান, আল-আমিন হোসেন, শফিউল ইসলাম, মোহাম্মদ শহীদ ও  রুবেল হোসেনের মত ৮ পেসারকে।
 
এখান থেকে ১৫ জনের স্কোয়াড এবং তারপরে মূল একাদশ। কাজটি বেশ চ্যালেঞ্জিংই। বিষয়টির সাথে একমত পোষণ করলেন টাইগার পেসার শফিউল ইসলাম।
 
বুধবার (৩ আগস্ট) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে আসন্ন ইংল্যান্ড সিরিজে মূল একাদশে জায়গা পাওয়ার বিষয়টিকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মূল একাদশে জায়গা পাব কি না সেটা পরের কথা। তবে আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। যদি থাকি তাহলে ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। আর না পারলে কীভাবে ভাল করা যায় সেই চেষ্টা করবো। দলে থাকা না থাকা নির্বাচকদের ব্যাপার। তারা যাকে পছন্দ করবেন তাকেই নিবেন। ’     
 
টাইগার ডানহাতি মিডিয়াম পেসার শফিউল ইসলামকে বল হাতে টেস্টে সব শেষ দেখা গিয়েছিল চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২০১৪ সালে। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টেস্টে, একই সিরিজে ঢাকায় খেলেছেন সবশেষ ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টিতে সব শেষ খেলেছেন ২০১৩ সালে বুলাওয়েতে। প্রতিপক্ষ ছিল জিম্বাবুয়েই।
 
 
শফিউল বাংলাদেশ দলের মূল স্কোয়াডে সবশেষ ছিলেন গেল ২০১৫ সালে ‍অস্ট্রেলিয়া নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে। যদিও বল হাতে তাঁর মাঠে নামা হয়নি। এরপর ইনজুরি ও বাজে পারফরম্যান্স তাকে মাঠ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছিল। তবে এই অমানিশা কাটিয়ে দ্রুতই জাতীয় ফিরতে চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলেও জানালেন। ‘আমি চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি। আমার পেছনে যত পেসার থাকবে ততই আমার জন্য ভাল। তত বেশি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবো। সুযোগ এলে আমি একশত ১০ ভাগ দিতে চেষ্টা করবো। ’
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, ৩ আগস্ট, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।