ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন সারওয়ান

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৫, ২০১৬
ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন সারওয়ান ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান রামনরেস সারওয়ান। বৃহস্পতিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ১৭ বছরের ক্যারিয়ার শেষে সকল ধরনের ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন এই ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান।

জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সারোয়ানের সব শেষ ওয়ানডে ম্যাচটি ছিল ২০১৩ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে, ওভালে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ওয়ানডেতে ১৮১ আর টেস্টে ৮৭টি ম্যাচ খেলেছেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ১৮টি।

৩৬ বছর বয়সী সারোয়ানের টেস্ট আবির্ভাব ঘটেছিল ২০০০ সালে বার্বাডোজে, পাকিস্তানের বিপক্ষে। আর উদ্বোধনী টেস্টের দুই ইনিংসে সংগ্রহ করেছিলেন ৮৪ ও অপরাজিত ১১ রান।

তার প্রথম টেস্ট শতকটি এসেছিল ক্যারিয়ারের ২৮তম ম্যাচে, ঢাকায় বাংলাদেশের বিপক্ষে। টেস্টে সারোয়ানের সেরা পারফরমেন্সের একটি ছিল ২০০৩ সালের মে মাসে অ্যন্টিগুয়ায় অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে। ওই টেস্টে পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে সারোয়ানের দায়িত্বশীল ১০৫ রানে ভর করে স্বাগতিকরা টপকে গিয়েছিল সফরকারী অজিদের ৪১৮ রানের ইনিংস।

সারোয়ানের ১৫টি টেস্ট শতকের ১৪টিই এসেছে তিন নম্বর পজিশনে ব্যাটিং থেকে। ২০০৯ সালে বার্বডোজে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সারোয়ান খেলেছিলেন ২৯১ রানের এক বিষ্ফোরক ইনিংস আর তাতেই ধরে ফেলেছিলেন ক্যারিবীয়দের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যান স্যার ভিভ রিচার্ডসকে।

সারোয়ান তিন নম্বর ব্যাটসম্যান যিনি কিনা ব্যাটে তিন নম্বরে নেমে ৬০ ম্যাচে সংগ্রহ করেছিলেন ৪১৯৭ রানের সমৃদ্ধ এক ভান্ডার। ৮৭ টেস্ট ম্যাচে ৪০.০১ গড়ে সারোয়ানের সংগ্রহ ৫৮৪২ রান।
 
টেস্টের মতো সারোয়ানের ওয়ানেডে ক্যারিয়ারও বেশ সমৃদ্ধ। ২০০০ সালের জুলাইয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে রঙিন পোশাকের ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান টপ অর্ডার। ওয়ানেডতে ফিনিশার হিসেবে সারোয়ানের নাম ছিল সর্বজন বিদিত।

ওয়ানেডেতে সারোয়ানের উল্লেখযোগ্য ইনিংসগুলোর মধ্যে একটি হলো ২০০২ সালে নভেম্বরে জামসেদপুরে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ উইনিং ইনিংসটি। সে ম্যাচের একেবারে শেষ বল পর্যন্ত ৮৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে কাঙ্খিত জয় এনে দিতে ভূমিকা রেখেছিলেন সারোয়ান।

শুধু তাই নয়, ২০০৪ সালের জুলা‌ইয়ে ন্যাটওয়েস্ট সিরিজ ও একই বছরের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ের নায়কও সারোয়ান। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ওই আসরে দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ছিলেন তিনি। ওয়ানডেতে ১৮১ ম্যাচে ৪২.৬৭ গড়ে সারোয়ানের মোট রান ৫৮০৪। রঙিন পোশাকে তার মোট সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫টি। অর্ধশতক আছে ৩৮টি।

ক্রিকেটে সুনামের পাশাপাশি বেশ কয়েকবার সমালোচিতও হয়েছন সারোয়ান। সময়টি ছিল ২০০৫ সালের মার্চে। ব্যক্তিগত স্পন্সর প্রতিষ্ঠান (কেবল ও ওয়ারেলেস) এর সাথে চুক্তির জটিলতায় লারা ও গেইলের সাথে তিনিও বাদ পড়েছিলেন ওই বছরের পাকিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ থেকে। স্পন্সরের সাথে চুক্তি বাতিলের শর্তে পরে অবশ্য দলে সুযোগ পেয়েছিলেন এই তারকা ব্যাটসম্যান।

অধিনায়ক হিসেবে সারোয়ান ক্যারিবীয়দের হয়ে চারটি টেস্ট, পাঁচটি ওয়ানডে ও ২টি টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ ঘণ্টা, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।