ঢাকা, সোমবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

বিপিএলে উন্মাদনা কোথায়?

সাজ্জাদ খান, স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১২, ২০১৬
বিপিএলে উন্মাদনা কোথায়? ছবি: শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট। ব্যাটসম্যানরা খেলে যাবেন তাদের পছন্দের স্ট্রোক। রানের প্রয়োজনে নিজস্ব স্টাইলের সঙ্গে চেষ্টা করবেন নতুন শট তৈরির। যা দেখে মুগ্ধ হবেন দর্শকরা। গ্যালারি মাতবে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। টি-টোয়েন্টি বলতেই ক্রিকেটভক্তদের মানসপটে ভেসে আসবে এমনই সব ছবি।  

মিরপুর থেকে: টি-টোয়েন্টি মানেই চার-ছক্কার ধুমধাড়াক্কা ক্রিকেট। ব্যাটসম্যানরা খেলে যাবেন তাদের পছন্দের স্ট্রোক।

রানের প্রয়োজনে নিজস্ব স্টাইলের সঙ্গে চেষ্টা করবেন নতুন শট তৈরির। যা দেখে মুগ্ধ হবেন দর্শকরা। গ্যালারি মাতবে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে। টি-টোয়েন্টি বলতেই ক্রিকেটভক্তদের মানসপটে ভেসে আসবে এমনই সব ছবি।  

কিন্তু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এসব থেকে ক্রমেই স্বতন্ত্র হয়ে উঠছে। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দূরে থাক, নিজের সেরা শট কিংবা পছন্দের শটটাও ব্যাটসম্যানরা খেলতে পারছেন না বল নিচু ও মন্থর হয়ে আসায়। উইকেটের এমন আচরণে দেশি-বিদেশি তারকা ব্যাটসম্যানদের ভালো ভালো ইনিংস দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দর্শকরা। রান না হওয়ায় দর্শকরাও আগ্রহ নিয়ে মাঠে আসছেন না।

ছুটির দিন (শুক্রবার) ছাড়া শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে গ্যালারিতে এখন হাজার পাঁচেক দর্শক পাওয়াও কঠিন।

বিপিএলের গত আসরেও হাই স্কোরিং ম্যাচ তেমন দেখা যায়নি উইকেটে বল মন্থর ও নিচু হয়ে আসায়। এবারও তার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে। চতুর্থ আসরের আটটি ম্যাচ মাঠে গড়ালেও দেড়শ প্লাস ইনিংস হয়েছে মাত্র একটি। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে ১৬১ রান করেছিল তামিম ইকবালের চিটাংগাং ভাইকিংস।

পরের পাঁচ ম্যাচে সর্বোচ্চ স্কোর ১৪৮। এ আটটি ম্যাচের মধ্যে আবার বিপিএল ইতিহাসে সর্বনিম্ন রান দেখা হয়ে গেছে। খুলনাকে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট করে অর্ধেক সময় হাতে রেখেই ম্যাচ শেষ করেছে রংপুর।
কুমিল্লার মাশরাফি বিন মর্তুজা, বরিশালের মুশফিকুর রহিম, ঢাকার সাকিব আল হাসান উইকেটের আচরণ নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেননি। তাদের মন্তব্যের সার কথা অনেকটা এমন-‘এমন উইকেটে কী বিপিএল জমে?’ 

শনিবার (১২ নভেম্বর) বরিশালের আরেক ক্রিকেটার শাহরিয়ার নাফীসও জানালেন, ‘এ উইকেটে ব্যাট করা কঠিন। কেননা বল উঁচু-নিচু হয়। ’

তবে নাফীসের আশা ঢাকা পর্বের দ্বিতীয় ধাপে ভালো উইকেট পাওয়ার ব্যাপারে, ‘যত সময় যাবে উইকেট ভালো হবে। যেহেতু বিপিএল শুরু হওয়ার কিছুদিন আগেই আমরা টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। টেস্ট ম্যাচের জন্য স্পেশাল প্ল্যান ছিল। ৩-৪ দিনের ব্যবধানে উইকেটের আচরণ আমুল বদলে ফেলা কঠিন। কারণ আমরা কিন্তু অনেক দিন ধরেই ইংল্যান্ড সিরিজের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। টার্নিং, স্লো পিচ যাতে হয়। সময় যত যাবে উইকেটের আচরণটা বেটার হবে। আশা করি সেকেন্ড ফেসে যখন ঢাকায় বিপিএল হবে তখন অনেক ভালো উইকেট আমরা পাব। ’ 

উইকেট নিয়ে এমন আশাবাদ নাফীস না দেখিয়ে কিউরেটররা দেখালেই হয়তো খুশি থাকতেন দর্শকরা!

বাংলাদেশ সময়: ১৬২০ ঘণ্টা, ১২ নভেম্বর ২০১৬
এসকে/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।