ওয়েলিংটনের বেসিন রিজার্ভে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশি কি আত্মতৃপ্তিতে ভুগেছে। নাকি অতি মাত্রায় আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠেছিল।
এ ম্যাচে অবশ্য সফরকারীদের ইনজুরি বেশ ভাবিয়েছে। চোট নিয়ে খেলা শুরু করেছিলেন তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও ইমরুল কায়েস। তবে প্রথম ইনিংসে ইনজুরির প্রভাব দেখাই যায়নি দলের মধ্যে। সাবলীল ব্যাটিং করেছিলেন তামিম। মুশফিক তো দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিই (১৫৯) করেছেন। তবে ফের আঙ্গুলে চোট পাওয়ায় উইকেটরক্ষক হিসেবে আর তার থাকা হয়নি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংসের ব্যাটিংই মূলত দলকে ডুবিয়েছে। ১৬০ রানেই গুটিয়ে যেতে হয়েছে। যার দায় কোনো অংশেই ব্যাটসম্যানদের থেকে সরানো যাবে না। যদিও এই ইনিংসে আবার দুটি দুঃসংবাদ আসে। রান নেওয়ার জন্য দৌড়াতে গিয়ে কোমরে আঘাত পান ইমরুল। যেতে হয় হাসপাতালে। আর ম্যাচের শেষ দিন মাথায় বলের আঘাত লেগে হাসপাতালে যাওয়া মুশফিককে ম্যাচেই আর ফেরা হয়নি।
কিছুটা দায়িত্বহীনতা ছিল দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তামিম, মাহমুদউল্লাহ, মুমিনুল ও সাকিবের। চতুর্থদিন বাজেভাবে খেলতে গিয়ে আউট হন তামিম, প্রথম ইনিংসের মতো দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যর্থ মাহমুদউল্লাহ। মুমিনুল কিছুটা চেষ্টা করলেও মাথা ঠিক না রাখতে পারা সাকিব শূন্য রানে ফিরেছেন। এখন পর্যন্ত টেস্টের ইতিহাসে সপ্তম ব্যাটসম্যান প্রথম ইনিংসে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য করলেন। তাদেরই একজন সাকিব।
আগামী শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট। এই টেস্টে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এমনটিই আশা দেশের কোটি সমর্থকের। অন্যথায় বাজে আরেকটি রেকর্ড ভারী হবে সফরকারীদের। সেই ২০০১ সাল থেকে নিউজিল্যান্ডে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা ১৯ ম্যাচে হেরেছে বাংলাদেশ। স্বাগতিক দেশের বিপক্ষে টানা হারের রেকর্ড যে আর মাত্র দুই ম্যাচের দূরত্বে। শ্রীলঙ্কায় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টানা ২১ ম্যাচে হেরে চূড়ায় বসে থাকা দলটিও বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ সময়: ১২৩২ ঘণ্টা, ১৬ জানুয়ারি, ২০১৭
এমএমএস