শুরু থেকেই ইনজুরির সঙ্গে লড়াই করছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা/ ফাইল ফটো
ফিটনেস তৈরি হয়ে খাদ্যাভ্যাসে, বলেন এই ফিজিও। তিনি জানান, ক্যাম্পে যখন ক্রিকেটাররা থাকেন তাদের পুষ্টির জন্য একটা গাইডলাইন মানতে হয়। যথাসাধ্য সেটি অনুসরণের চেষ্টা করা হয়। গত কয়েক বছরে অনেক পরিবর্তন হয়েছে নিঃসন্দেহে। কিন্তু প্লেয়ারদের মধ্যে ফিক্সড কয়েকটি খাবারের মধ্যে থাকার প্রবনতা বেশি। প্লেয়ারদের পুষ্টির জন্য যত বেশি ধরণের খাবার দেওয়া যায় তত ভালো। আরপছন্দের খাবারের বাইরে খাওয়ার অভ্যাসও জরুরি, মত দেবাশীষ চৌধুরীর।
পড়ুন আগের অংশ>> হেড ইনজুরি
আবারও পুরোনো অভিজ্ঞতায় ফিরলেন এই চিকিৎসক। এক সময় তিনি চিকিৎসা দিতেন বাংলাদেশ ফুটবল টিমের সদস্যদের।
তাদের নিয়েই একটি ঘটনা শেয়ার করলেন। সেটি ২০০৪ সালের। দেবাশীষ বলেন, সেবার দিল্লিতে গেলাম ফুটবল টিমের সঙ্গে। ভারতের সঙ্গে সাফের ফাইনাল খেলা। আগের দিন রাতে ইন্ডিয়া টিমের ম্যানেজার পিকে ঘোষ আমাকে ডেকে বললেন, একটা বিষয় আপনার নজরে আনতে চাই। বলে ডাইনিংয়ের দিকে নিয়ে গেলেন। বললেন, একটু খেয়ার করে দেখুন কে, কী খাবার নিচ্ছে। এটা থেকেই ধারনা করা যাবে, কাল কার ক্যামন পারফরম্যান্স হবে।
দেবাশীষ বলেন, বাংলাদেশ টিমের প্লেয়ারদের দেখে মনে হচ্ছিলো ওরা যেনো বিয়ে বাড়িতে কিংবা পিকনিকে গেছেন। একেক জন প্লেট ভর্তি খাবার নিয়ে খাচ্ছেন। তাও তেলযুক্ত-মসলাযুক্ত খাবারেই ঝোঁক। যেগুলো স্বাস্থ্যকর, শরীরের জন্য উপকারী সেগুলো তাদের মুখে রুচবে না। কিন্তু ভারতের ফুটবলাররা ওই খাবারগুলোই খাচ্ছেন।
পিকে ঘোষ সেদিন আমাকে একটা কথা বলেছিলেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, দেড় ঘন্টার খেলা কে জিতবে না জিতবে সেটা পরের কথা। খেলার মাঠের বাইরেও কিছু বিষয় থাকে, যা খেলারই অংশ। তাতেও জয়ী হওয়া জরুরি। মনকে নিয়ন্ত্রণ করা, রসনাকে নিয়ন্ত্রণ করাও খেলার অংশ।
পিকে ঘোষ বলেছিলেন, হঠাৎ জিতে গেলাম একদিন। এটা কিন্তু পথ নয়। ধারাবাহিকভাবে জেতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে। আমারও সেই একই কথা, বলেন দেবাশীষ চৌধুরী।
পরের অংশ পড়ুন>> ক্যালকুলেটিভ রিস্ক ও তার ঝুঁকি
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।