তবে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো নিজ নিজ দলে জাতীয় দলের চারজন করে প্লেয়ার নিতে পারবে। যেহেতু টুর্নামেন্টটির মূল ফোকাস যুবাদের ওপর, তাই বাংলাদেশের যুব ক্রিকেটের উন্নয়নে ইমার্জিং কাপ একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের ন্যাশনাল গেমস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
দেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে এ জাতীয় টুর্নামেন্ট আয়োজনকে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ বলতে এতটুকু দ্বিধাবোধ করলেন না তিনি।
তিনি জানান, ‘আমার মনে হয় এটি খুবই ভালো একটি পদক্ষেপ। যুব ক্রিকেটের ব্যাপারে আমরা কখনও এ ধরনের কোনো কার্যক্রম দেখিনি। বিশেষ করে বাংলাদেশে অনূর্ধ্ব-২৩ বয়সের যে ক্রিকেটাররা আছে তাদের জন্য খুব ভালো প্রতিযোগিতার কোনো ব্যবস্থা আমরা করতে পারিনি। যদিও অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সাথে এখানে জাতীয় দলের চারজন খেলতে পারবে। আমাদের অনূর্ধ্ব-২৩ বছরের নিচে একটা বড় সংখ্যক খেলোয়াড় আছে যারা ট্যালেন্টেড। বিশেষ করে হাই পারফরমেন্স দলের যারা আছে তারা বেশিরভাগই ২৩ বছরের নীচে। তাদের জন্য এটা খুবই যুগোপযোগী একটি টুর্নামেন্ট হবে এবং ওদের পরবর্তী ধাপে উত্তোরণের জন্য একটি কার্যকর ভূমিকা রাখবে। ’
একথা ঠিক বাংলাদেশ জাতীয় দল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে একটি বহুল উচ্চারিত নাম। মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের পারফরমেন্স আজ বিশ্বের বাঘা বাঘা দলের রাতের ঘুম হারাম করে দিচ্ছে। এটা নিশ্চয়ই এক দিনে হয়নি। বহুদিনের বহু চেষ্টার ফল।
জাতীয় দলের ক্ষুরধার পারফরমেন্স বের করে আনতে দেশে ও দেশের বাইরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আয়োজন করেছে বহু ঘরোয়া টুর্নামেন্টের। কিন্তু যুব ক্রিকেটারদের জন্য এদেশে এই জাতীয় টুর্নামেন্টের আয়োজন এর আগে কখনওই দেখা যায়নি। তাই বিষয়টিকে দারুণ ইতিবাচক বললেন ফাহিম।
তিনি যোগ করেন, ‘আমরা যদি ভারত বা শ্রীলঙ্কার দিকে তাকাই, ওদের যুব ক্রিকেটের জন্য ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে যথেষ্ট ব্যবস্থা থাকে। কিন্তু আমাদের ক্রিকেটের জন্য আমরা এখন পর্যন্ত এমন কিছুই করতে পারিনি। সেজন্যই একথা চোখ বন্ধ করে বলা যায় যে এটা আমাদের যুব ক্রিকেটের জন্য খুবই ভালো একটি পদক্ষেপ। যেহেতু এবছর দিয়েই এই টুর্নামেন্টের শুরু হলো, সেহেতু সামনের বছরগুলোতেও আমরা এর জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকবো। ’
টুর্নামেন্টের উপকারীতার দিকটি তুল ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের এই ন্যাশনাল গেমস ডেভেলপমেন্ট ম্যানেজার আরও বলেন, ‘এতদিন হাই পারফরমেন্স দলকে জাতীয় দলের ব্যাকআপ হিসেবে দেখা গেলেও এই টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে প্লেয়াররা নিজেদের মূল্যায়ন নিজেরাই করতে পারবে। আন্তর্জাতিকভাবে তুলনা করলে তারা কোথায় আছে সেটা বুঝতে পারবে। একই বয়সের আইসিসির পূর্ণ সদস্যের প্লেয়ারদের সাথেও ওরা খেলার সুযোগ পাবে। আমরা কেমন খেলছি এবং আমাদের সত্যিকারের স্কিলটা কেমন সেটা বোঝারও একটি দারুণ সুযোগ এই টুর্নামেন্ট দিয়ে আমাদের তরুণ ক্রিকেটাররা পাবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি