কীভাবে? অনভিজ্ঞ লঙ্কানদের বিপক্ষে এই ম্যাচ শুরুর আগে ক্রিকেট বিশ্লেষক, বোদ্ধা ও দেশের ক্রিকেট ভক্তরা প্রত্যাশা করেছিলেন যে মাহেলা, সাঙ্গাকারাহীন দলটির বিপক্ষে এই সিরিজে জয় তুলে নিতে পারবে।
তাদের এমন প্রত্যাশাও অবশ্য অমূলক নয়।
দলের কাণ্ডারিখ্যাত ব্যাটসম্যান যারা আছেন তারা যেন ব্যাট ধরাই ভুলে গেছেন। সৌম্য ও মুশফিক দুই ইনিংসে যা খেললেন ওই টুকুই। সৌম্যর ৭১ ও মুশফিকুর রহিমের ৮৫ রান ছিল প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ দলের ব্যাটসম্যানদের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। আর এই দুই ব্যাটসম্যানের ব্যাটে ভর করেই ওই ইনিংসে ৩১২ রানের সংগ্রহ পেয়েছিল বাংলাদেশ।
দ্বিতীয় ইনিংসেও ব্যাটিং করলেন এই দুজনই! সৌম্য খেললেন ৫৩ আর মুশফিক খেললেন ৩৪ রানের ইনিংস। লিটন দাস দয়া করে ৩৫ রানের ইনিংসটি না খেললে হারের ব্যবধান প্রায় তিনশোই ছুঁয়ে ফেলতো। টপ অর্ডারদের অন্যদের সবাই গেলেন আর এলেন।
বয়সে তরুণ ও অভিজ্ঞতায় অনেক পিছিয়ে থাকা দলটির বিপক্ষে অভিজ্ঞ টাইগারদের এমন লজ্জার হারের কারণ খুঁজে পাচ্ছেন না বাংলাদেশ ক্রিকেটের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও। তিনি জানান, ‘খুব বাজে খেলেছি আমরা। এই হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই। বিদেশের মাটিতে পর পর দুইটি সিরিজ খেলার পরও কেন এমন হলো বুঝতে পারছি না। উইকেট আহামরি কঠিন ছিল না। টার্ন করেনি, ভাঙেনিও। এধরনের উইকেটে এমন খেলার কোনো কারণ নেই। ’
তবে সুমন মনে করছেন স্বাগতিকদের ৪৯৪ রানের জবাবে সফরকারীদের প্রথম ইনিংসের ৩১২ রানের স্বল্প সংগ্রহের ইনিংসটিই জয়ের পেছনে মূল প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করেছে। আর এক্ষেত্রে প্রথম ছয় ব্যাটসম্যানকে দায়ী করলেন এই টাইগার নির্বাচক।
‘প্রথম ইনিংসে যে ব্যাটিং আমরা করেছি সেটা অপ্রত্যাশিত। আমাদের রান কম হয়ে গেছে। টপ অর্ডার যদি ক্লিক না করে তাহলে মুশকিল। প্রথম ছয় জনের ব্যাট থেকে আমরা বড় স্কোর পাচ্ছি না। প্রথম ইনিংসটা যদি ভালো না হয় তাহলে পুরো ম্যাচেই পিছিয়ে থাকতে হবে, সেটাই হয়েছে। ’ যোগ করেন সুমন।
অনভিজ্ঞ দলটির বিপক্ষে টাইগারদের এমন মর্মান্তিক হারের ক্ষত হয়তো শুকাতে সময় লাগবে। তবে সেই কাজটি কিন্তু টাইগাররাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে করতে পারেন। ১৫ মার্চ কলম্বোর পি সারা ওভালে নিজেদের শততম টেস্টটি জিততে পারলে লঙ্কা যাত্রার প্রথম ধাক্কাটি কাটিয়ে উঠতে পারবেন অধিনায়ক মুশফিক রহিম ও তার দল, হবে অবিস্মরণীয় কিছুই।
সেই আশায়ই আপাতত বুক বাঁধছেন লাল-সবুজের ক্রিকেট প্রেমীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৯০০ ঘণ্টা, ১১ মার্চ ২০১৭
এইচএল/এমআরপি