দেশে ফিরে তিনি জানালেন, ‘আমি একটা কথা বারবারই বলেছি, মাশরাফি কিন্তু টি-টোয়েন্টি এখনও ছাড়েনি। আমরা এখনও বলিনি সে স্কোয়াডে নেই।
বাংলাদেশ দলের জন্য বিগত দিনগুলোতে মাশরাফির ভূমিকার কথা তুলে ধরে পাপন আরও বলেন, ‘একটা জিনিস মনে রাখতে হবে মাশরফি শুধু একজন প্লেয়ারই নয়, সে দলের জন্য এমন একজন গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার, যাকে দলের জন্য প্রয়োজন ছিল। দলের দরকারী সময়ে যখন পারফর্ম করা দরকার তখন সে করেছে। তাকে যখন অধিনায়ক করা হয় টি-টোয়েন্টি ও ওডিআইতে সে স্কোয়াডেই ছিল না। সে তখন ইনজুরিতে। তাকে যখন দলপতি বানানো হয়েছে তখন নিশ্চয়ই একটা বিশেষ কথা চিন্তা করে করা হয়েছিল এবং সেই রোলটা সে পুরোপুরি সার্থকভাবে করেছে। সেজন্য তার পাশাপাশি আমরাও গর্বিত। ’
শুধু মাশরাফিকেই নয়। পাপন এসময় ভূয়সী প্রশংসা করেন মিরাজ, সাব্বির, মোসাদ্দেক, সাকিব ও মুশফিকের। সিনিয়র ও জুনিয়রদের দারুণ কম্বিনেশনেই শ্রীলঙ্কায় টাইগাররা এমন একটি সিরিজ খেলতে পেরেছে বলেও মত বিসিবি সভাপতির, ‘এই সিরিজে আমাদের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি টিম ওয়ার্ক। দারুণ টিম ওয়ার্ক! টেস্টে, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে সবাই ভালো খেলেছে। সিনিয়র-জুনিয়র সবাই নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলেছে। যেমন ধরেন মিরাজ; ওর বোলিং বাদ দেন, ফিল্ডিং দেখতে সবার ভালো লাগে। সাব্বির আছে, মোসাদ্দেক আছে। তারা অসাধারণ ফিল্ডিং করছে। বিশ্বসেরা সাকিবকে আমরা নতুন রূপে দেখছি। অনেক পরিপক্ক সাকিব। অনেক দায়িত্ববোধ তার মধ্যে মনে হচ্ছে। মুশফিকের উইকেটকিপিং দেখে মনে হয়েছে ব্যাটিংয়ের চেয়ে তার কিপিংই দেখতে ভালো লাগে। মাশরাফির বোলিং দেখেছেন? সে ছিল সবার থেকে সেরা। ’
বিসিবি সভাপতি তো বললেন মাশরাফি টি-টোয়েন্টি ছাড়েননি। কিন্তু, গত ৪ এপ্রিল কলম্বোর প্রেমাদাসা স্ট্রেডিয়ামে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস করতে নেমে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা দেন মাশরাফি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, ৭ এপ্রিল ২০১৭
এইচএল/এমআরপি