ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

মেগা ইভেন্টের আগের চ্যাম্পিয়নরা

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০০০ ঘণ্টা, মে ৩১, ২০১৭
মেগা ইভেন্টের আগের চ্যাম্পিয়নরা ছবি: সংগৃহীত

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশের মাটিতে, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়াম। তখন নাম ছিল মিনি বিশ্বকাপ। সেই মিনি বিশ্বকাপই এখনকার আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। আগামীকাল বাংলাদেশ-ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অষ্টম আসর।

চলুন দেখে নেওয়া যাক টুর্নামেন্টের গত ১৯ বছরের পথচলায় কারা চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর কারা রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে।

১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফি:
১৯৯৮ আইসিসি নক-আউট ট্রফির সব ম্যাচই ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।

প্রাথমিক পর্বে নিউজিল্যান্ড আর জিম্বাবুয়ের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে প্রতিযোগিতার উদ্বোধন হয়। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৪ উইকেটে হারিয়ে দেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজকে।

২০০০ আইসিসি নক-আউট ট্রফি:
২০০০ সালের এই ইভেন্টের সবগুলো খেলাই কেনিয়ার নাইরোবিতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ফাইনালে ভারতকে ৪ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়নের মুকুট পড়ে নিউজিল্যান্ড। আইসিসি কর্তৃক আয়োজিত প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ডের সেটিই একমাত্র সাফল্যগাঁথা।

২০০২ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:
২০০২ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত হয়। নেদারল্যান্ডস এবং কেনিয়াসহ সর্বমোট ১২টি দেশ এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল। ফাইনালটি ভারত এবং শ্রীলঙ্কার মধ্যে দুইবার অনুষ্ঠিত হলেও কোনো ফলাফল পাওয়া যায়নি। প্রথমে শ্রীলঙ্কা ৫০ ওভার ব্যাট করে ও ভারত ২ ওভার ব্যাট করে। কিন্তু বৃষ্টির জন্য খেলা বিঘ্নিত হয়। পরদিন শ্রীলঙ্কা পুনরায় ৫০ ওভার ব্যাটিং করে ও ভারত ৮.৪ ওভার ব্যাটিং করে। কিন্তু বৃষ্টি আবারো বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। অবশেষে আয়োজক কমিটি উভয় দলকে যৌথভাবে বিজয়ী ঘোষণা করতে বাধ্য হয়। দল দু’টি ১১০.৪ ওভার খেললেও কোনো ফলাফল আনতে ব্যর্থ হয়।

২০০৪ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:
২০০৪ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত হয়। দশটি টেস্টভূক্ত দল, ওডিআই মর্যাদাপ্রাপ্ত কেনিয়া ও আইসিসি ৬-জাতি চ্যালেঞ্জ প্রতিযোগিতা বিজয়ী আমেরিকা এতে অংশ নেয়। ১২ দলকে ৪ গ্রুপে ভাগ করা হয় ও প্রত্যেক গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দল সেমি-ফাইনালে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে। প্রথম সেমি-ফাইনালে ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে এবং লো-স্কোরিং ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজ পাকিস্তানকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে। ব্রায়ান লারার নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে ক্যারিবীয়ানরা ২ উইকেটের জয় পায়।

২০০৬ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:
সেবারের ইভেন্টটি ভারত অনুষ্ঠিত হয়। ওয়ানডে চ্যাম্পিয়নশীপের শীর্ষস্থানীয় ছয় দল এবং শ্রীলঙ্কা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ের মধ্যকার চার টেস্টভূক্ত দল থেকে রাউন্ড-রবিন পদ্ধতিতে বাছাইয়ের মাধ্যমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং শ্রীলঙ্কাকে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। পরে আট দলকে দুই গ্রুপে বিভক্ত করে রাউন্ড-রবিন প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ করা হয়। অস্ট্রেলিয়া ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ যথাক্রমে নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমি-ফাইনালে হারায়। ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটে হারিয়ে শিরোপা জেতে অজিরা।

২০০৯ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:
২০০৬ সালে আইসিসি সিদ্ধান্ত নেয় যে, পরবর্তী আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০০৮ সালে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হবে। তবে, ২০০৮ সালের ২৪ আগস্ট কয়েকটি দেশের নিরাপত্তাজনিত আপত্তির কারণে প্রতিযোগিতাটি স্থগিত করা। পরে, আইসিসি ২০০৯ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পাকিস্তান থেকে দক্ষিণ আফ্রিকায় স্থানান্তরিত করে। সেবার নিউজিল্যান্ডকে ৬ উইকেটে হারায় অস্ট্রেলিয়া।

২০১৩ আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি:
সবশেষ ২০১৩ সালের এই মেগা ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হয় ইংল্যান্ডের মাটিতে। ফাইনালে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক ইংল্যান্ড আর ভারত। সেবার চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত। বৃষ্টির কারণে ৫০ ওভারের ম্যাচ নেমে দাঁড়ায় ২০ ওভারে। আগে ব্যাটিং করে ৭ উইকেট হারিয়ে ভারত তোলে ১২৯ রান। জবাবে, ৮ উইকেট হারানো ইংলিশদের ইনিংস থামে ১২৪ রানের মাথায়। বার্মিংহামের ফাইনালটি ধোনির দল জেতে মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, ৩১ মে ২০১৭
এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।