আইসিসির মেগা ইভেন্ট চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ছয় নম্বরে থেকে মিশন শুরু করেছিল টাইগাররা। সেমি ফাইনাল থেকে বিদায় নেয় লাল-সবুজরা।
১১৭ রেটিং নিয়ে দুইয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। ১১৪ রেটিং নিয়ে তিন নম্বরে ভারত, টিম ইন্ডিয়ার থেকে ১ রেটিং পয়েন্ট কম নিয়ে চারে ইংল্যান্ড। পাঁচ নম্বরে রয়েছে ১১১ রেটিং প্রাপ্ত নিউজিল্যান্ড। আর ছয়ে থাকা পাকিস্তানের অর্জন ৯৫ রেটিং পয়েন্ট। পাকিস্তানের থেকে মাত্র ১ রেটিং কম নিয়ে সাতে বাংলাদেশ। টাইগারদের পরের স্থানে আছে ৯১ রেটিং পাওয়া শ্রীলঙ্কা।
৭৯ রেটিং নিয়ে বাংলাদেশের অনেক পরে থাকা ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান নয় নম্বরে। আর ৫৪ রেটিং নিয়ে দশ নম্বরে সদ্যই টেস্টে সদস্যপদ পাওয়া আফগানিস্তান। ১১ ও ১২ নম্বরে যথাক্রমে জিম্বাবুয়ে-আয়ারল্যান্ড।
আইসিসির ওয়েব পেজে সবশেষ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ের তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা ওয়ানডে দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম ম্যাচ দেখানো হয়েছে আফগানদের। ৩০টি ওয়ানডে খেলেছে তারা। ৩১ ওয়ানডে দেখানো হয়েছে টাইগারদের। সর্বোচ্চ ৫১ ম্যাচ দেখানো হয়েছে লঙ্কানদের ঘরে। ৫০টি করে ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকা আর ইংল্যান্ডের দখলে। ১১ নম্বরে থাকা জিম্বাবুয়ে ১ ম্যাচ কম খেলেছে ভারতের থেকে (৩৮ ম্যাচ)।
২০০৫ সালে বাংলাদেশ র্যাংকিংয়ের চমক দেখায় (একাদশ)। পরের বছর ১০ নম্বরে ওঠে আসে টাইগাররা। ২০০৭ সালে নয় নম্বরে অবস্থান নেয় লাল-সবুজরা। ২০১০ সাল পর্যন্ত এই জায়গাটি ধরে রাখে। ২০১১ সালে অষ্টম স্থানে নাম লেখায় বাংলাদেশ। ২০১২ সালে একধাপ পিছিয়ে নবম স্থানে নেমে যেতে হয়। যা ২০১৫ সাল পর্যন্ত কোনো পরিবর্তন হয়নি।
এরপরেই ওয়ানডেতে অন্য এক বাংলাদেশকে দেখছে বিশ্ব ক্রিকেট। ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর দেশের মাটিতে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, জিম্বাবুয়েকে হারানোর স্বাদ নেয়। টানা ওয়ানডে সিরিজ জয়ের মধ্যদিয়ে টাইগাররা সাত নম্বরে জায়গা দখল করে। গত বছরের ন্যায় চলতি বছরও এই জায়গাটি ধরে রেখে শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ড-আয়ারল্যান্ডের মুখোমুখি হয়। ত্রিদেশীয় সিরিজে রানার্সআপ হওয়ার মধ্যদিয়ে শীর্ষ ছয়ে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মিশন শুরু করে টাইগাররা। কিন্তু, টুর্নামেন্টে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হলে বাংলাদেশকে একধাপ নেমে যেতে হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৫০ ঘণ্টা, ০৩ জুলাই ২০১৭
এমআরপি