আকিব জাভেদের মতে, শারজিলকে যে ডট বলগুলোর কারণে অভিযুক্ত করা হয়েছিল, তা মোটেই নীতিগত পন্থা ছিল না।
শারজিলের ব্যাপারে অভিযোগে বলা হয়, ‘তিনি দুবাইতে একজনের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।
পিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত যেকোনো টুর্নামেন্ট এবং আইসিসি সমর্থিত যেকোনো আয়োজনে নিষিদ্ধ থাকবেন শারজিল। নিজেদের প্রথম ম্যাচে শারজিল ব্যক্তিগত ১ রানে হাস্যকরভাবে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। বিদায়ের আগে অনেকগুলো বল তিনি ছেড়ে দিয়েছিলেন (শট নেননি)। পরে ২৭ বছর বয়সী এই ওপেনার জানান, ‘আমি নিষিদ্ধ হওয়ার মতো কোনো খারাপ কাজ করিনি। দেশের বদনাম হবে এমন কোনো কাজও করিনি। সত্যিটা খুব দ্রুতই সামনে আসবে। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড মিডিয়ায় কিছু বলা থেকে বিরত থাকতে বলেছে। আমি বোর্ডের কাছে জানাতে চাই, আমি অবৈধ কিছু করিনি। আশা করি সবকিছুই খুব দ্রুত ভালোর পথে যাবে। ’
আকিব জাভেদ জানান, ‘শারজিলের ব্যাপারে যে অভিযোগ উঠেছিল তা সঠিক কোনো পন্থা মেনে হয়নি। পেছনের গল্প আমাকে হতাশ করেছে। যারা অভিযোগ করেছে তারা কোনো প্রমাণ দিতে পারেনি। একজন ব্যাটসম্যান ডিফেন্সিভ থাকতে বল ছেড়ে দিতেই পারে। শুধুমাত্র ডট বলের হিসেব ধরে কাউকে নিষিদ্ধ করার মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া বোকামি। বল ডট দেওয়া কোনো ক্রাইম হতে পারে না। এটা খেলারই অংশ। এটা কোনো স্পট ফিক্সিংয়ের বিষয় হতে পারে না। ’
আকিব আরও জানান, ‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বোলাররা কখনই খারাপ বল দিতে চায় না। তারা নিজেদের সেরা ডেলিভারিগুলোই দিয়ে থাকে। শারজিলের ওই সময়টায় হয়তো বোলার তার সেরাটা দিয়েই বল করছিল। আগে থেকেই বিশ্বের কেউ বলতে পারবে না আমি এই বলটিতেই স্কোর করবো। ’
শুধু পিএসএলের দল থেকেই নয়, ঘরোয়া ক্রিকেট দল ইউনাইটেড ব্যাংক থেকেও নিষেধাজ্ঞা পান শারজিল। আকিব জাভেদের আগে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ ইউসুফ, ইসলামাবাদের কোচ ডিন জোন্স শারজিলের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই ২০১৭
এমআরপি