সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মাসেই অস্ট্রেলিয়া সিরিজ দিয়ে আবার ব্যাট-বলের লড়াই জমে উঠবে মিরপুরের এই সবুজ গালিচায়। ৮ ইঞ্চি পুরু সিলেটি বালুর ওপর গত মে মাসে শেষ হয়েছে মাঠের ঘাস লাগানোর কাজ।
নতুন এই সংস্কারের ফলে মাঠের বেশ কিছু গুণগত পরিবর্তন সাধিত হয়েছে বলে জানালেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তা, ‘যত ভারী বৃষ্টিই হোক না কেন, মাঠ শুকাতে সর্বোচ্চ আধা ঘণ্টা সময় লাগবে। আউটফিল্ড আগের চেয়ে বেশ দ্রুত হয়েছে। ’এদিকে মাঠের ২২ গজ থেকে শুরু করে বাউন্ডারি পর্যন্ত যে স্লপ, সেটা ঠিক করা হয়েছে। ফলে বল বাউন্ডারি সীমানার দিকে যেমন নির্বিঘ্নে গড়াতে পারবে তেমনি বৃষ্টির পানিও বাউন্ডারি লাইনের পাইপে অল্প সময়ের মধ্যেই জমা হয়ে পানি নিষ্কাশনে সহায়তা করবে। মাঠের পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে জানাতে গিয়ে এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘পুরো মাঠের ৮ ইঞ্চি নিচে জুড়ে আছে ছিদ্রকায় পারপোরেটেড পাইপ যা কী না জিওটেক্স (মশারির মতো কাপড়) দিয়ে আবৃত। এই জিওটেক্সের চারদিকে আবার ছোট ছোট পাথর দিয়ে দেয়া হয়েছে যেন কোনো অবস্থায়ই জিওটেক্সের স্থানচ্যূতি না ঘটে। ’
জিওটেক্স বা মশারির মতো কাপড় পাইপের ওপর থেকে সরে গেলে আবার মহাবিপদ। কেননা বৃষ্টির পানির সাথে বয়ে আসা ভূগর্ভস্থ ময়লাগুলো গিয়ে জমা হবে ওই পারপোরেটেড পাইপের ভেতর, যা মাঠের পানি নিষ্কাশনের পথে বাধা দেবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের গ্রাউন্ডস কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের এমন নিখুঁত সংস্কারের পেছনে গত চার মাস বিরামহীন-বিশ্রামহীনভাবে কাজে করে গেছেন একঝাঁক নিবেদিত প্রাণ কর্মী। আর পেছন থেকে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও অস্ট্রেলিয়ান পরামর্শক কোম্পানি ল্যাবোস্কোপ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ০৮ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি