তবে ফিল্ডিংয়ে এখনও কিছুটা জড়তা লক্ষ্য করা যায়। দীর্ঘ দিনের সমস্যা তাতো আর এতো অল্প সময়ে শেষ হবার নয়।
কিন্তু যে বিষয়টি নিয়ে একজন কোচ নিজেকে তৃপ্ত ভাবতে পারেন সেটা হলো, শিষ্যদের বদলে যাওয়ার মানসিকতা। আগে হয়নিতো কী হয়েছে? এখন হবে। ক্রিকেট বিশ্বে শ্রেষ্ঠত্বের লড়াইয়ে নিজেদের সেরা হিসেবে প্রমাণের লক্ষ্যে এমন ইতিবাচক মানসিকতা এই মুহূর্তে টাইগার শিবিরে বিরাজ করছে বলে বেশ তৃপ্ত কোচ মারিও ভিল্লা ভারায়ন।
সোমবার (১০ জুলাই) মিরপুর ইনডোরে তিনি গণমাধ্যমকে টাইগারদের বদলে যাওয়ার মানসিকতার এমন ইঙ্গিত দেন, ‘ওদের মধ্যে বদলে যাওয়ার মানসিকতা আছে। এমন মানসিকতা ওরা আগামীতেও ধরে রাখতে চায় এবং কঠোর পরিশ্রম করতে দ্বিধাবোধ করে না। তার চেয়ে বড় ব্যাপার হলো ফিটনেস ধরে রাখতে ওরা নিজেদের অনুশীলনটা এখন নিজেরাই করে। মূলত এজন্যই ওরা বদলেছে। আপনি ওদের গত আটের মাসের পারফরমেন্স দেখলে দেখবেন ব্যাট হাতে, ওরা ভালো রান করেছে। সেটা ঘরোয়া ও আন্তর্জাতিক দুই পর্যায়েই। ’
এদিকে দুই ম্যাচ সিরিজের টেস্ট খেলতে আগামী মাসেই বাংলাদেশ সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া। সন্দেহ নেই ফিটনেসের দিক থেকে টাইগারদের চেয়ে যোজন যোজন এগিয়ে অজিরা। তাই মারিওর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা অদূর ভবিষ্যতে অস্ট্রেলিয়ার সমান ফিটনেস অর্জনে সক্ষম হবে কী না?
কাজটিকে চ্যালেঞ্জিং উল্লেখ করে এই লাল-সবুজের ক্রিকেটের ট্রেনার জানালেন, ‘কাজটা খুবই চ্যালেঞ্জিং। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকানরা ভীষণ পেশাদার। তাদের ফিটনেসের মানও উঁচু। তারমানে এই না যে আমরা তাদের ধারের কাছেও নেই। যেটা করতে হবে সেটা হলো, আমাদের ছেলেদের মনোভাবের পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান ভাবধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাহলেই হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, ১০ জুলাই ২০১৭
এইচএল/এমআরপি