মঙ্গলবার (১১ জুলাই) দুপুর পৌনে দুইটার দিকে দিনাজপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক বিশ্বনাথ মন্ডল এ আদেশ দেন।
এর আগে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় কোচ মিঠু আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত বৃহস্পতিবার (০১ জুলাই) বিকেলে অনুশীলনের সময় এক প্রমীলা ক্রিকেটার বাম পায়ে বলের আঘাত পেয়ে পা ফুলে যায়। তখন আরেকজন প্রমীলা ক্রিকেটার তাকে বড়মাঠে অবস্থিত স্পোর্টস ভিলেজে নিয়ে গিয়ে আঘাতপ্রাপ্ত পায়ে বরফ লাগিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন।
ওই সময় কোচ আবু সামাদ মিঠু স্পোর্টস ভিলেজে এসে সহযোগী প্রমীলা ক্রিকেটারদের সুকৌশলে মাঠে চলে যেতে বলেন। তারা চলে গেলে তিনি ওই মেয়েকে জড়িয়ে ধরেন। এতে মেয়েটি বাধা দিলে তাকে বিভিন্ন ভয়ভীতি ও হুমকি দেওয়া হয়।
আহত পা নিয়ে ব্যথায় ছটফট করলেও আবু সামাদ মিঠু জোরপূর্বক মেয়েটিকে শ্লীলতাহানি ও যৌন নিপীড়ন করেন। পরবর্তীতে বাড়িতে গিয়ে অসুস্থ মেয়েটি মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে। এক পর্যায়ে অন্য একজন প্রমীলা ক্রিকেটারের মাধ্যমে বিষয়টি তার বাবা জানতে পারেন।
পরে ওই প্রমীলা ক্রিকেটারের বাবা এ ঘটনায় দিনাজপুর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন। এরপর গত শনিবার (৮ জুলাই) নির্যাতিতা প্রমীলা ক্রিকেটারের বাবা বাদী হয়ে দিনাজপুর কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৭ ঘণ্টা, জুলাই ১১, ২০১৭
এমজেএফ