‘ফক্স স্পোর্টস’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে স্মিথ বলেন, ‘আমি পছন্দ করবো (বাংলাদেশ ট্যুর প্রসঙ্গে), কিন্তু আমরা দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছি প্রথমে চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর বর্জনের পর আমাদের যাওয়াটা ন্যায্য হবে বলে আমি মনে করি না।
সমঝোতায় আসতে সিএ’র সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার্স অ্যাসোসিয়েশন (এসিএ)। বলা হচ্ছে মতৈক্যে পৌঁছানোর কাছাকাছি দু’পক্ষ। আবার কিছু রিপোর্টের দাবি সমঝোতা স্মারক অনিশ্চিত।
যাই হোক, স্মিথ এ নিয়ে আশাবাদী কারণ তিনি বলেছেন আলোচনায় ‘সত্যিই ভালো অগ্রগতি হয়েছে। খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে সামনে দাঁড়িয়ে সিএ ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে কতটা কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে সেটিও তিনি বলেছেন।
স্মিথের ভাষ্যমতে, ‘এর কিছু কঠিন মুহূর্ত ছিল। যখন সব কিছু শেষ হয়ে যাবে আমাকে প্যাট হাওয়ার্ডের সঙ্গে চুক্তি করতে হবে, বোর্ডের (সিএ) সঙ্গে চুক্তি করতে হবে এবং জেমস সাদারল্যান্ডের (সিএ সিইও) সঙ্গে কথা বলতে হবে। তাই আমি যেসব বাক্য উচ্চারণ করছি তা নিয়ে সর্তক থাকা প্রয়োজন। কিছু মানুষ সোস্যাল মিডিয়ায় বড় গলায় কথা বলছে। আমি মনে করি সমস্যা নিরসনের জন্য সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার উপায় পর্দার আড়ালের ব্যক্তিদের সঙ্গে আলোচনা করা। ’
প্রসঙ্গত, ২০০৬ সালের পর আর টেস্ট খেলতে বাংলাদেশ সফর করেনি অস্ট্রেলিয়া। আসন্ন সিরিজটি হওয়ার কথা ছিল ২০১৫ সালের অক্টোবরে। কিন্তু নিরাপত্তার অযুহাত দেখিয়ে অফিসিয়ালি তা স্থগিত করে সিএ। গত বছর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও দল পাঠায়নি তারা। দীর্ঘ সময় পর সিরিজ হওয়ার দ্বারপ্রান্তে আসতেই বোর্ডের সঙ্গে খেলোয়াড়দের বেতন-ভাতার দ্বন্দ্ব নতুন করে অনিশ্চয়তার জন্ম দেয়।
আগামী ২৭ আগস্ট মিরপুরে প্রথম টেস্ট শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। চট্টগ্রামে ৪ সেপ্টেম্বর থেকে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৫ ঘণ্টা, ২ আগস্ট, ২০১৭
এমআরএম