আর এই জয়ের পুরো ক্রেডিট তিনি দিলেন সতীর্থ স্পিনার নাথান লায়নকে।
ম্যাচ শেষে স্মিথ জানান, ‘অবশ্যই স্বস্তি লাগছে।
ঢাকা টেস্টের দুই ইনিংসে ৯ উইকেট পাওয়া লায়ন চট্টগ্রাম টেস্টে ছিলেন আরও উজ্জ্বল। একটি-দুটি না, পেয়েছেন ১৩টি উইকেট। বাংলাদেশের বিপক্ষে সেরা বোলিংয়ের রেকর্ড এটিই। এর আগে ২০০৭ সালে ক্যান্ডিতে ৮২ রানে ১২ উইকেট নিয়েছিলেন মু্ত্তিয়া মুরালিধরন।
এই সিরিজে লায়নের ২২ উইকেটও একটি রেকর্ড। ২ টেস্টের সিরিজে এত বেশি উইকেট অজিদের আর কারো দখলেই নেই। এর আগে ১৮৮৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২ টেস্টে ১৮ উইকেট নিয়ে সেরাদের সেরার তালিকায় শীর্ষে ছিলেন জন জেমস ফেরিস। তাইতো সতীর্থ লায়নকে দলপতি সব ক্রেডিটই দিলেন।
বৃহস্পতিবার ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে সফরকারী অধিনায়ক আরও বলেন, ‘প্রথম ইনংসের চেয়ে দ্বিতীয় ইনিংসের উইকেট ভালো ছিল। আমাদের পরিকল্পনা ছিল নতুন বলে লাইন ও লেংথ ঠিক রেখে ঠিক জায়গায় ফেলা, যা আমরা পেরেছি। তবে আমরা ২-০তে জিততে পারলে ভালো হতো। ’
উপমহাদেশের উইকেটে ভালো করার অনুভূতিও স্মিথকে ছুঁয়ে গেছে, ‘আমার মনে হয় উপমহাদেশে আমরা আগের চেয়ে অনেক উন্নতি করেছি। তবে আমাদের প্রথম ইনিংসে বোলিংয়ের প্রশংসা না করে পারছি না। ওদের ৩০৫ রানে আটকাতে পেরেছি বলেই জয়টি এসেছে। ওই ইনিংসে ডেভিড ওয়ার্নার ও হ্যান্ডসকম্বের জুটি আমাদের কাজটি সহজ করে দিয়েছে। ওরা সত্যিই দারণ ছিল। ’
আর এই সিরিজ ড্র’র ফলেই উপমহাদেশে আগামীর সিরিজগুলো স্মিথকে আরও ভালো কিছুর প্রেরণা যোগাচ্ছে, ‘আশা করছি আমরা এই ধরাবাহিকতা ভবিষ্যতেও অব্যাহত রাখবো। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি