মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বনানীর নিজ বাসায় সাংবাদিকদের সাকিব জানান, ‘দলকে দীর্ঘ সময় সার্ভিস দেয়ার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ক্যারিয়ার দীর্ঘ করতেই আমি ৬ মাসের ছুটি চেয়েছিলাম।
বিশ্রাম নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে যদি তরতাজা সাকিব ফিরে আসেন, তবে সেটাই ভালো। তবে, সাকিব বোর্ডের কাছে ছয় মাসের বিরতির আবেদন করলেও, বোর্ড তাকে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজের দুই টেস্টে ছুটি দিয়েছে। সাকিব চাইলে বোর্ড তাকে দ্বিতীয় টেস্টে খেলাতে রাজি আছে।
সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশের যেকোনো ফরমেটে মাঠে নামা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু, বিশ্বের বড় দেশগুলোর দিকে তাকালে বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের নেওয়া সিদ্ধান্তকে অন্তত বিলাসিতা ভাবার অবকাশ নেই। ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনি, দক্ষিণ আফ্রিকার ডেল স্টেইন, ডি ভিলিয়ার্স, ওয়েস্ট ইনিডজের ক্রিস গেইল, সুনীল নারাইনদের মতো গ্রেট ক্রিকেটাররা নিজেদের ক্যারিয়ার দীর্ঘ করার জন্যই বেছে বেছে ক্রিকেট খেলেছেন, এখনও খেলছেন।
সাকিব আরও জানান, ‘আমি জেনে বুঝেই সিদ্ধান্তটা নিয়েছি, ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ যে, তারা আমাকে বুঝতে পেরেছেন। বিরতিটা যদি পাই, শারীরিকভাবে না যতটা মানসিকভাবে আরও বেশি সতেজ হয়ে ফিরতে পারব। কারণ, আমার শারীরিক অবস্থা অন্যদের চেয়ে আমিই ভালো বুঝতে পারব। দুই টেস্টেই যদি ছুটি পাই, তাহলে প্রায় একমাসের বিরতি পাব। গত তিন-চার বছরে আমি সেটা পাইনি। ’
তিন সংস্করণেই বাংলাদেশ দলের মূল ভরসা সাকিব। দেশের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সাকিবকে ছুটে বেড়াতে হয় বিশ্বের এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্তে। বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি-ভিত্তিক লিগগুলোর দৃষ্টি থাকে সাকিবের দিকে। সে হিসেবে সাকিবের ছুটি চাওয়াটা অহেতুক নয়। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার খ্যাতিটা তো আর এমনি এমনিতেই আসেনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩২ ঘণ্টা, ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এমআরপি