যে কোনো কিছুতেই প্রথমের অনুভূতি অনন্য। মিশুর ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
তবে মজার ব্যাপার হলো শনিবারের প্লেয়ারদের নিলাম যখন শুরু হলো তার প্রাথমিক পর্যায়ে নিজের ডাক পাওয়া নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন না মিশু। অনেকটা দোটানার মধ্যেই তার কেটেছে। কিন্তু যখন তাকে ডাকা হয়েছে তখন তার সেই দোটানা উবে গেছে প্রথমের উন্মাদনায়, ‘ভাবছিলাম যেভাবে প্লেয়ার নিচ্ছিলো তাতে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্লেয়ারদের ডাকবে না। মনে হচ্ছিল কেউ নিতেও পারে আবার নাও নিতে পারে। দোটানার মধ্যে ছিলাম। তবে যখন আমাকে নিয়েছে তখন অনেক খুশি হয়েছি। ’
অবশ্য মিশুর এই খুশি, উন্মাদনা শুধুমাত্র বিপিএলে প্রথমবারের মতো খেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। বিপিএলে তার দল এবং প্রতিপক্ষ দলে অংশ নেয়া আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কাছ থেকে তিনি যে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন সেটা তার আনন্দের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। কেননা এই অভিজ্ঞতাই তাকে আসন্ন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে দারুণ কিছু করার সুযোগ করে দেবে বলে মত তার।
তিনি জানান, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ দলের প্লেয়ার হিসেবে এতবড় টুর্নামেন্ট আমার জন্য বিশ্বকাপে কাজে দেবে। এমন একটা অভিজ্ঞতা যদি আমি বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে পারি তাহলে ওখানে কাজটি আমার জন্য আরও সহজ হবে। ’
ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের জন্য খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ হয়নি মিশুদের। তাতে অবশ্য খুব বেশি চিন্তিত নন তিনি। কারণ বিপিএল দিয়ে সেই ম্যাচ ঘাটতি পূরণের সম্ভাবনা দেখছেন এই টাইগার যুবা পেসার, ‘যারা বিপিএল খেলছে তাদের জন্য এটা প্লাস পয়েন্ট হয়ে গেল যে বিশ্বকাপের আগে একটা ভালো ফ্লো’তে থাকা। কারণ বিশ্বকাপের আগে আমাদের কোনো সিরিজ নেই। এশিয়া কাপের পরে আমরা সাধারণ অনুশীলন করবো। তাই এটা একটা প্লাস পয়েন্টই। ’
বিপিএলের এবারের আসরে মিশু ছাড়াও অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকে ডাক পেয়েছেন আরও চার ক্রিকেটার (সাইফ হাসান, আফিফ হোসেন ধ্রুব, কাজী অনিক ও নাঈম হাসান)। ভিন্ন ভিন্ন দলে হলেও সতীর্থ, বন্ধুদের সাথে একই টুর্নামেন্টে খেলার আনন্দটা সত্যিই অন্যরকম। মিশুও সে ব্যাপারে একমত। তবে তার এই আনন্দের মাত্রাটা দ্বিগুণ হতো যদি তার আরও সতীর্থ বিপিএলে সুযোগ পেতেন, ‘ভালো লাগছে এই ভেবে যে আমি একা না আমার সাথে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের আরও চারজন আছে যারা সবাই আমার বন্ধু। ভালো লাগছে। তবে আরও বেশি সুযোগ পেলে আরও খুশি হতাম। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এইচএল/এমআরপি